একদলীয় শাসনের আওয়াজ তুলছে সরকার: ফখরুল

0
525

খবর৭১ঃ সরকারের সকল দুর্নীতি, অপকর্ম আড়াল করতে এক দলীয় শাসনের আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিনিধি সভা ২০১৯’র এক আলোচনা সভায় এ কথা বলে তিনি। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক পানি গড়িয়েছে, ১৯৭৫ আর ২০১৯ সাল এক নয়। সুতরাং একদলীয় শাসনের যে স্বপ্ন আপনারা দেখছেন, রাজত্ব চিরস্থায়ী করবেন, এদেশের জনগণ কোনোদিনেই এ অবস্থা মেনে নিবে না।’

যৌবন যার সময় এখন যুদ্ধে যাবার, কবিতার চরণ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যৌবন যার তাকে যুদ্ধে আনতে হবে। তাকে সংগ্রামে আনতে হবে। এই সংগ্রামে তাকে সংযোজিত করতে হবে। তাদের মনের মধ্যে এই আগুন সৃষ্টি করতে হবে। তাদের মাঝে দেশপ্রেম সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তার দেশকে রক্ষা করতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার কথা জানিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘কোনো আইনেই সাজায় বেগম জিয়াকে আটক রাখার ক্ষমতা রাখে না। আজকে তার প্রতিদিন স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। এর আগে একবার হাসপাতালে এনে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এরপর সাড়ে ৩ মাস কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আর পেছনে তাকানোর সময় নেই, আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে। আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্র মুক্ত করবো। রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। তাই নিজ নিজ এলাকার ছড়িয়ে দিতে হবে, আমাদের রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সময় আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে যুবক-তরুণদের মাঝে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দেয়া। আর এই দেশে প্রেম ছড়িয়ে দিতে হলে আমাদেরকে দেশে পথে-প্রান্তরে যেতে হবে। জাগিয়ে তুলতে হবে মানুষদেরকে।’

বর্তমান সরকার পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে একটি মিথ্যার ওপরে, প্রতারণার ওপরে, রাষ্ট্রের সমগ্র স্তম্ভকে ভেঙে দিয়েছে, সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়ে রাজত্ব করছে। এই সরকার কোনো জনগণের সরকার নয়, অনির্বাচিত সরকার। এই সরকার তাদের প্রভুদের হুকুম তালিম করার জন্য বিভিন্ন প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’

১৯৭৫’র ইতিহাস টেনে বিএনপি মহাসবি বলেন, ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হতে শুরু করলো। যখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হলো তাদের দুর্নীতির কারণে, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হলো তখন জরুরি আইন চালুর মধ্য দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। সেই বাকশালের পেছনে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিল না। সেই বাকশালে কারণ ছিল তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার ক্ষমতাকে ধরে রাখবার।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খানের সভাপতিত্বে যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহীম বীরপ্রতীক, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here