খবর৭১ঃ কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসনকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা চলছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তিনি একটি অস্বাস্থ্যকর ও পরিত্যক্ত কারাগারের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্মাণাধীন কেরাণীগঞ্জ কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে স্থানান্তরের সরকারি চিন্তা-ভাবনা মনুষ্যত্বহীন কাজ। সেখানে গ্যাস-পানির এখনও তেমন কোনো সুবন্দোবস্ত নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জীবন নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলায় জনগণ ইতিমধ্যে ক্ষোভে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে। সীমাহীন অন্যায়ের জবাব জনগণ একদিন দেবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘অনেক অত্যাচার ও জ্বালা-যন্ত্রণা দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়াকে, এক বছরের বেশি সময় কারাগারে আটকিয়ে রেখে কষ্ট দেয়ার পরেও কেন প্রতিহিংসা শেষ হচ্ছে না। এবার তাকে মুক্তি দিন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাকশাল মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে গোটা জাতি আঁতকে উঠেছে, তার এই বক্তব্য শুধু গণতন্ত্র নয়, নাগরিক স্বাধীনতাকে মৃত্যুর দক্ষিণ বাহু দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলার আগাম আভাস।’
তিনি বলেন, ‘বাকশাল হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মৃত্যু পরোয়ানা। বাকশাল মানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে আর কোনো দল থাকবে না। তাদের পোষ্য গণমাধ্যম ছাড়া আর কোনো গণমাধ্যম থাকবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। আর এই কারণেই প্রতিপক্ষ জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী বেগম জিয়াকে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।’