খবর৭১ঃ বাসচাপায় সহপাঠী নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ও সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে এরই মধ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচালের চেষ্টা চলছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আঘাত করা হলে দাঁতভাঙ জবাব দেবে ছাত্রসমাজ।’
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে বিকেল পৌনে ৫টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ডাকসু ভিপি।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী। এর পরই সহপাঠী নিহতদের ঘটনায় প্রগতি সরণী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিইউপি’র শিক্ষার্থীরা।
দুপুরের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথেস্ট ইউনিভার্সিটিসহ ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এতে বিমানবন্দর থেকে বিশ্বরোড ও বাড্ডা হয়ে রামপুরা এবং গুলিস্তান রুটের সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বিকেলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নূর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নর্থ সাউথ, ইস্ট-ওয়েস্টসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে এরই মধ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচালের চেষ্টা চলছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
নুর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘আমরা সবসময় চাই সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ হোক। সড়কে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর আগে সড়কে নৈরাজ্য বন্ধে যেসব দাবি ছিল সেগুলো বাস্তবায়িত হোক।’
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানসহ আরও কয়েকজন কোটা আন্দোলনের নেতারা নূরের সাথে ছিলেন।
খবর৭১/এসঃ