খবর ৭১ঃ ভয়াবহ হামলায় প্রকম্পিত ক্রাইস্টচার্চ। মসজিদ আল নূরে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪১ জন। জখম প্রায় অর্ধশতাধিক। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা।
সেই মসজিদেই জুমার নামাজ পাঠের জন্য গিয়েছিলেন তারা। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। অবশ্য কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তামিম-মুশফিকরা। তাদের মানসিক অবস্থা এবং ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
কথা বলার সময় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের চোখে মুখে আতঙ্ক ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, আর ৫-৭ মিনিট আগে হলে আমরা মসজিদেই থাকতাম। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত ভয়ের। চাই না কখনও এরকম হোক। কেউ এর কবলে পড়ুক। আমরা অতি সৌভাগ্যবান।
তিনি বলেন, বাসে ১৬-১৭ জন ছিলাম। এর মধ্যে সৌম্য সরকার ছিল। আমরা নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলাম। আমাদের দুজন সদস্য হোটেলেই থেকে গিয়েছিল। মসজিদের ৫০ গজের মধ্যে ছিলাম। বাস থেকে আমরা সব দেখতে পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন সিনেমা দেখছি। রক্তাক্ত হয়ে মানুষ মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল।
খালেদ মাসুদ আরও বলেন, আমরা নিজেরাও বাসের মধ্যে ৮-১০ মিনিট মাথা নিচু করে ছিলাম। যদি ওরা গুলি চালায় এ ভয়। পরে বুঝলাম এটা সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ।