পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৩ শতাধিক ট্রাক

0
377

খবর ৭১: যানবাহনের চাপ কমেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায়। ফলে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিরিয়াল অনুয়ায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে আটকে থাকা পণ্যবাহী সাধারণ ট্রাকগুলোকে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওই নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘলাইন না থাকলেও অপেক্ষামান পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা তিন শতাধিক বলে জানিয়েছেন উভয় ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বিআইডব্লিউটিএ’র বাণিজ্য বিভাগের সহাকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গত কয়েকদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অপেক্ষামান যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নৌরুট পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যে কারণে ঘাট এলাকায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন বাড়তে থাকে। পরে শুক্রবার ( ১৫ মার্চ) মধ্যরাতের পর যানবাহনের চাপ কমলে জমে থাকা ওই ট্রাকগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী নৌরুট পারাপার শুরু করা হয়।

সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ১৭০ থেকে ১৮০টি ট্রাক নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট বিআইডব্লিউটিএ’র বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে একটি ফেরি মেরামতে থাকায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির বাড়তি চাপ ছিলো। আবার ঘন কুয়াশার কারণে এর আগের কয়েকদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। যে কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের অপেক্ষামান লাইন বাড়তে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে যাওয়ায় আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী নৌরুট পারাপার শুরু করা হয়।

সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ১২০ থেকে ১৩০ টি ট্রাক নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। দুপুর নাগাদ এসব ট্রাকের পারাপার সম্পন্ন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here