বেনাপোলে লাশ/কঙ্কালের খোজে সিআইডির অভিযান ব্যর্থ

0
440

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোলে লাশ/কঙ্কালের খোজে দীর্ঘ ৬ঘন্টা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন সিআইডি সদস্যরা। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১২ই মার্চ) বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেনাপোল বাজারের শাহজাহান মার্কেটে অবস্থিত বাজার কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ের মেঝে খুড়ে দু’টি লাশ/কঙ্কাল খোজার চেষ্টা করেন তারা।

এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির এএসপি উত্তম কুমারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যর প্রতিনিধি দল, একজন ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ সদস্যরা।

এসময় উৎসুক হাজারও জনতা অধির আগ্রহে দাড়িয়ে থাকেন এই বুঝি তুহিনের গুমকরা লাশ বের হয়ে আসছে। এসময় পাশবর্তী দোকানদারদের চোখেমুখে ছিল এক অজানা প্রতিবাদের ঢেউ। অনেককে খুশখুশ করে বলতে শোনাগেছে কারো না কারো লাশের কঙ্কাল অবশ্যই পাওয়া যাবে। সারাদিন হৈ-হুল্লোর আর নানা জল্পনা কল্পনার মাঝে কেটে যায় সারাটি বেলা কিন্তু সন্ধান মেলেনি কোনও লাশ/কঙ্কালের। তবে, আশা ছাড়েননি সিআইডি সদস্যরা। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ পেলে আবারো তারা অভিযানে নামবেন বলে জানান।

অনেকে বলেছেন বাজার কমিটি উক্ত ঘরটি নেওয়ার পূর্বে বেনাপোল পৌর মেয়র সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত শাহজাহান মার্কেটের এই ঘরটি দখল করে তাদের নিজস্ব কার্যালয় তৈরি করেছিল। এখানেই চলত তাদের নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। হঠাৎ একরাতে তারা মেঝে ঢালাইয়ের কাজ করে। পরে ওই ঢালাইয়ের নিচে দু’টি লাশ পোতা আছে বলে এমন জল্পনা কল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বেনাপোল জুড়ে। কিছুদিন পরে আবার হঠাৎ আরেক রাতে মেঝে খোড়াখুড়ির শব্দ ও লাইট জ¦ালানো দেখতে পায় পাশ^বর্তীরা। পরের দিন সকালে দেখে সমগ্র ঘরটি টাইলস বসানো। এজন্য অনেকে আবার মন্তব্য করেছেন হয়ত ওই সময়ে এলাকাবাসীর গুঞ্জনে লাশটি অণ্যত্র সরিয়ে ফেলা হতে পারে।

স্থানীয়রা বলেন, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর তারিকুল আলম তুহিন ২০১৩ সালের ৭-মার্চ দুপুরে ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে নিখোজ হয়। সেই থেকে তার আর সন্ধান মেলেনি। তার পরিবারের অভিযোগ কেউ হয়তো তাকে গুম করে হত্যা করেছে। এই গুমের ব্যাপারে মামলা করেন তার পরিবারের সদস্যরা। মামলাটি সিআইডি’র হাতে পড়লে তারা তদন্ত মারফত আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দিনভর স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বর্তমান বেনাপোল বাজার কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে খোড়াখুড়ি কার্য চালায়। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা খোড়াখুড়ি করেও কোন লাশ/কঙ্কাল উদ্ধার করতে না পারায় এদিনের মতো তল্লাশী কার্যক্রম স্থগিত রাখেন উক্ত তল্লাশী টিমের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাওছার হামিদ এবং পরবর্তীতে আদালতের আদেশ পেলে পুনরায় আবার তদন্তে আসবেন বলেও জানান তিনি।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা দুটি লাশের কঙ্কালের তথ্য পেয়েছি। বেনাপোল এলাকার দুইজন ব্যক্তি ৬ মাসের ব্যবধানে নিখোঁজ হয়েছে। সেই সুত্র ধরে আমরা চেষ্টা করছি লাশের কঙ্কাল উদ্ধারের জন্য।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাওছার হাবিব বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মিছিং তুহিনের কঙ্কাল খোজ করে কিছু পাইনি। দুপুর ২ টা থেকে আমরা কার্যক্রম শুরু করে কোন কিছু না পেয়ে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ করলাম। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা পেলে আবারও কার্যক্রম শুরু করব।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here