চৌগাছা (যশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় একটি ব্যাংক থেকে গ্রাহক টাকা উত্তোলন করার পর ৫শ টাকার নোটের বান্ডিলের মধ্যে পেয়েছে ১শ টাকার নোট। এ ঘটনায় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। এটি গ্রাহকদের সাথে রীতিমত প্রতারণা করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে অসাবধনতাবশত হয়ত টাকাটি বান্ডিলে চলে গেছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার ধুলিয়ানী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলিম মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সোনালী ব্যাংক চৌগাছা শাখা হতে ২লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। বিদ্যালয়ের মোট ১৬ জন শিক্ষকের ১৬টি চেকের মাধ্যমে তিনি এই টাকা উঠাতে আসেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার জয়নাল আবেদিনের নিকট থেকে তিনি সমুদয় টাকা বুঝে নেন। এসময় শিক্ষক আব্দুল আলিম ক্যাশিয়ারের নিকট ১ হাজার টাকার বান্ডিল চাইলে তিনি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। চারটি ৫শ টাকার বান্ডিল (বান্ডিলে ৫০ হাজার) টাকা করে মোট ২ লাখ ও বাকি ৩০ হাজার টাকাও ৫শ টাকার নোট প্রদান করা হয়। শিক্ষক আব্দুল আলিম তার অপর সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজ ক্যাশিয়ারের সামনেই টাকা হিসাব করে বুঝে নিতে থাকেন। এসময় পিনকরা ৫শ টাকার একটি বান্ডিলের মাঝা মাঝিতে যেয়ে একটি ১শ টাকার নোট দেখতে পান তারা। বিষয়টি ক্যাশিয়ার জয়নাল হোসেনকে অবহিত করলে তিনি দ্রুত ওই বান্ডিল পরিবর্তন করে শিক্ষকদের আর একটি বান্ডিল দিয়ে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাংকে উপস্থিত সকল গ্রাহকের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। টাকা উত্তোলনকারী শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, গ্রাহকের মাথায় টুপি আর পরনে পাঞ্জাবি দেখে ক্যাশিয়ার সাহেব হয়ত মনে করেছিল টাকার বান্ডিলটি চালিয়ে দেতে পারবে কিন্তু তা সফল হয়নি। আমার মনে হয় ক্যাশিয়াররা এ ধরনের অপকর্ম করে বাড়তি রোজগার করেন। এবিষয়ে সোনালী ব্যাংক চৌগাছা শাখার সেকেন্ড অফিসার রাজিবুল হাসান বলেন, অনেক ব্যাংক আমাদের সাথে লেনদেন করেন। এটি অসাবধনতা বশত হয়েছে বলে আমি মনে করছি। ভবিষ্যতে যেন এমন কোন ভুল না হয় তার জন্য আমি সকলের সাথেই কথা বলেছি।
খবর৭১/এসঃ