খবর৭১ঃরাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়িসহ একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আল ইসলাম জীবনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অতিরিক্ত ৮ নম্বর আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ জুলাই চকবাজারে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে আসামির রামদার কোপে শাশুড়ি রাশিদা বেগম ও সীমা আক্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার দুদিন পর গুরুতর আহত শ্রাবণী আক্তার বন্যাও মারা যান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মো. শাহাবুদ্দীনের বড় বোন রাশিদা বেগম ও তার মেয়ে সীমা (৩০), নাতনি বন্যা (২৩), জুঁই (৫) ও সানী (২)-কে নিয়ে একই বাসায় থাকতেন।
আসামি জীবনের সঙ্গে রাশিদা বেগমের মেয়ে সুমীর বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান জুঁই ও সানী।
সানীর জন্মের সময় মা সুমী মারা যান। মায়ের কথামতো সন্তানরা রাশিদার কাছে থাকত। সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য আদালতের দারস্থ হন জীবন। কিন্তু আদালত তাদের নানী রাশিদার কাছেই থাকার আদেশ দেন। তারপর থেকে সময়ে সময়ে বাবা তাদের দেখতে আসতো।
গত ৪ জুলাই আসামি জীবন শাশুড়ি রাশিদার বাসায় এসে বাচ্চাদের কাপড় দিতে চাইলে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে আসামি তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে শাশুড়ি রাশিদাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বাদীর অন্য ভাগনি দুলালীর মেয়ে বন্যা ও ভাগনি সীমা আসামিকে ফেরাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
খবর৭১/ইঃ