জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি;
সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যের মধ্যে ভারতীয় মদের চালান আটক করেছে বিজিবি। এঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল ০৪.০৩.১৯ইং সোমবার রাত ১০টায় সোর্স পরিচয়ধারী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আলী ভান্ডারী,তার ভাই মোটর সাইকেল চালক আরমুজ আলী ও তালতো ভাই মাসুক মিয়াকে আসামী করে থানায় মাদক মামলা নং-৬ দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের জবর আলীর ছেলে বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আলী ভান্ডারী নিজেকে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয় দিয়ে তার ছেলে হযরত আলী,মেয়ে জিন্নতা বেগম,স্ত্রী মনমালা বেগম,ভাই আরমুজ আলী,ডাবর আলী,হরমুজ আলী,তালতো ভাই মাসুক মিয়াসহ তাদের সহযোগী সোর্স রমজান মিয়া,কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া,জানু মিয়াগংকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় লালঘাট এলাকা দিয়ে কয়লার বস্তা ও লাকড়ির ভিতরে লুকিয়ে বিপুল পরিমান মদ,গাঁজা ও ইয়াবা ভারত থেকে পাচার করে লালঘাট,বোড়াঘাট,তেলিগাঁও, দুধেরআউটা ও নতুনবাজারে নিয়ে মজুত করে রাখে। এখবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মোনায়েম খান লালঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী ও তার ভাই আরমুজ আলীর বাড়ির ভিতর থেকে প্রায় ২০হাজার টাকা মূল্যের ৭৫০এমএল ওজনের ১২বোতল মদ জব্দ করেন।
এসময় উপরের উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পাচারকৃত ১ কার্টন মদ থেকে ৫শ টাকা,১ঠেলাগাড়ি লাকড়ি থেকে ১শ টাকা,১বস্তা কয়লা থেকে ১৫০টাকা,১ট্রলি পাথর থেকে ২শ টাকা, ১মে.টন বাংলা কয়লা (কুড়ানো কয়লা) থেকে ৩শ টাকা,গাঁজা ও ইয়াবা পাচারের জন্য সাপ্তাহিক ২০হাজার টাকা চাঁদা বিজিবি,পুলিশ,র্যাব ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে উত্তোলন করে সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী,জিয়াউর রহমান জিয়া ও তাদের গডফাদার আব্দুর রাজ্জাক।
এব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আলী ভান্ডারী বলেন,আমার বস আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বিজিবির অধিনায়ক(সিও),র্যাব ও থানা-পুলিশের খুব গভীর সম্পর্ক,তিনি সব ম্যানেজ করবেন।
সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন-চোরাচালান,চাঁদাবাজি ও মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর৭১/ইঃ