খবর৭১ঃ মিথ্যা বলা ও মিথ্যাচার একটি জঘন্যতম অপরাধ এবং ঘৃণিত অভ্যাস। মিথ্যা বলার চেয়ে নিকৃষ্ট গুনা আর নেই। তাই মিথ্যাবাদীকে আল্লাহ প্রচণ্ড ঘৃণা করেন। মিথ্যা ইসলামের দৃষ্টিতে অতি গর্হিত, অবশ্য-বর্জনীয়। মিথ্যাবাদিতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মিথ্যাবাদীর শাস্তির কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন, ‘তাদের হৃদয়ে আছে একটি রোগ, আল্লাহ সে রোগ আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন, আর যে মিথ্যা তারা বলে তার বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ ওদের যখন বলা হয়, তোমরা পৃথিবীতে অনাচার করো না, তারা বলে, আমরা তো শান্তি স্থাপনকারী। জেনে রাখো, ওরাই অনাচার বিস্তারকারী, কিন্তু ওদের চেতনা নেই’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০-১২)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘ইমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো আর সঠিক কথা বলো’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৭০)।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য থেকে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থাকবে। সে স্বভাগুলো হলো-১. তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২. সে কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে। (বুখারি, মুসলিম)।
যাচাই-বাছাই ছাড়া সংবাদ প্রচার করা মিথ্যার শামিল : আবু হুরাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে [বিনা বিচারে] তা-ই বর্ণনা করে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ)।
সামুরাই রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার তরফ থেকে কোনো হাদিস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে তা মিথ্যা, তবে সে দুই মিথ্যুকের একজন।’ (বুখারি, তিরমিজি)।
খবর৭১/এসঃ