খবর৭১:প্রায় ৯ মাস রাজনৈতিক দোলাচলের পর অবশেষে নতুন সরকার পেতে যাচ্ছে লেবানন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার পর বলেন, ‘আমাদের এখন পুরোনো সব ভুলে কাজ করতে হবে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।।
২০১৮ সালের মে মাসে লেবাননে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সরকার গঠনের যে বিধান দেশটিতে রয়েছে, তা মেনে এতদিন পর্যন্ত সরকার ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় সব দলের প্রতিনিধিত্ব রেখেই গঠন করা হয়েছে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা। ঐক্যমতের সরকারে ৩০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় থাকছেন চার জন নারী সদস্য। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছেন একজন নারী।
বৃহস্পতিবার লেবাননের নতুন এই সরকার ঘোষণা করা হয়। তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন হারিরি। ধ্বংসের মুখে থাকা লেবাননের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে ঋণের বোঝা কমানোটাই হবে দেশটির নতুন সরকারের প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ। বর্তমানের তাদের ঋণ জিডিপির ১৫০ শতাংশ।
লেবাননে মূলত সরকার গঠন করতে হয় ধর্মীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে, যেন সব ধর্মের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন সম্ভব হয়। তাছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারকে পৃথক পৃথক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের হতে হয়। ফলে সব পক্ষের অংশগ্রহণ ও সম্মতিতে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। যে কারণে দেশটিতে সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের পর সরকার গঠন করতে সময় লেগেছিল পাঁচ মাস। ২০১৩ সালের নির্বাচনের ১০ মাস পর গঠিত হয়েছিল সরকার।
খবর৭১/জি