খবর৭১ঃ বিশ্ব ইজতেমা পালন নিয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করে আদালতে আসা ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মো. নুরুল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
শুরুতেই রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো. নুরুল আমিন আদালতের সামনে মামলার বিবরণীর ওপর শুনানি করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত রিটকারী পক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হলে দ্বীনের প্রচার করবেন কীভাবে? নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন, আবার ইজতেমা পালনের জন্য আদালতে রিট দায়ের করবেন, এটা লজ্জার। আগে নিজেরা সংশোধন হন, সুস্থ হন এবং নিজেদের মধ্যকার বিভেদ নিরসন করুন। তারপরই আপনাদের আবেদন শুনবো।’
এরপর রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো.নুরুল আমিন আদালতকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা চলছে। তবে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব না হলে সরকার দুই পক্ষকে আলাদা-আলাদাভাবে ইজতেমা পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাই পালন করা হবে।’
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি জরুরি সভার তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। ইজতেমার বিষয়ে সেখান থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসতে পারে।’
রাষ্ট্রপক্ষের এই শুনানির পর মামলাটির পরবর্তী শুনানি ও শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা। রিট আবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিন জনকে বিবাদী করা হয়।
খবর৭১/এসঃ