নড়াইলের সীমান্তবর্তী কমরেড অমল সেন মেলায় হারিয়ে যাওয়া বায়োস্কোপ

0
395

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: বাংলার ঐতিহ্যবাহী এক সময়কার গ্রাম বিনোদন ছিল বায়োস্কোপ দেখা। এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না। বায়স্কোপ দেখিয়ে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের আনন্দ দেয়ার মাধ্যমে নিজের সংসার চালাচ্ছেন ওলিয়ার রহমান বিশ্বাস। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বড়বাড়িবগুড়া গ্রামে। নড়াইল-যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ী গ্রামে ভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অমল সেন স্মরণ মেলা উপলক্ষ্যে চলছে গ্রামীণ মেলা। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান বয়স (৫২) বছর। সংসারে রয়েছে স্ত্রীসহ ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত বায়োস্কোপ দেখিয়ে সংসার চালিয়ে জীবন-যাপন করছেন। এরপর প্রায় ১০ বছর বায়োস্কোপ দেখানো বন্ধ থাকলেও ফিরে এসেছেন নতুন করে। আগে বিভিন্ন হাট-বাজারে দর্শকদের বায়োস্কোপ দেখিয়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আয় হত। বর্তমানে দিনের খরচ বাদে ৩ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন ওলিয়ার। ওলিয়ার রহমান, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আগে ৫০ পয়সায় জন প্রতি বায়স্কোপ দেখালেও ধীরে ধীরে এখন ১০ টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। নতুন করে বায়োস্কোপের বাক্সটি তৈরি করতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। সাথে রয়েছে বিভিন্ন ছবিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি। বায়োস্কোপ দেখে পলাশ কর্মকার বিশ্বাস বলেন, আমি আগে কখনও বায়োস্কোপ দেখিনি এবারই প্রথম দেখলাম। জয় দাস বলেন, আমাদের বাবা-ঠাকুরদার কাছে বায়োস্কোপের গল্প শুনেছি আজ দেখলাম সত্যিই অনেক ভাল লাগছে। কৃষ্ণারানী বিশ্বাস বলেন, বায়োস্কোপ প্রথমবার দেখলাম এর মধ্যেও অনেক কিছু শেখার আছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here