নড়াইলে ৪০ দিনের কর্মসূচির নামে চলছে হরিলুট

0
307

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ওই সকল ইউপিতে বরাদ্দকৃত শ্রমিকের অর্ধেক শ্রমিক দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারিদের বিরুদ্ধে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৭৩ জন শ্রমিক বরাদ্দ দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচা সড়ক মেরামতের জন্য কাগজ কলমে ৭৩ জন শ্রমিক থাকলেও প্রকল্প গুলোতে ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পাখিমারা গ্রামে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পেরর কাজের জন্য ২৩ জন শ্রমিকের কথা থাকলেও সেখানে কাজ করছে মাত্র ৭ জন শ্রমিক। তবে ওই ওয়ার্ডেও (পিআইসি) ইউপি সদস্য জেফরুল বলেন, উপরের নির্দেশের কারনে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে । ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সরষপুর গ্রামে ২০ জন শ্রমিকের কাজ দেখানো হলেও কাজ করছে মাত্র ৮ জন । ৯ নং ওয়ার্ড চাপাইল মধুপুর গ্রামে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজে গিয়ে দেখা যায়, বরাদ্দকৃত ৩০ জনের মধ্যে উপস্থিত মাত্র ৮ জন। ওই ওয়ার্ডে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। পিআইসি ইউপি সদস্য টিপু ভূঁইয়ার কাছে শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। ওই প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার মিত্র বলেন, আমি এখন ঢাকাতে আছি। আমি গেলে সবাইকে কাজে দেখতে পাই। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো: শাহিনুল ইসলাম জানান, যে সব প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে সব প্রকল্পে অনুপস্থিত শ্রমিকের হাজিরা বিল দেয়ার সময় কেটে দেয়া হবে। একই সাথে সকল প্রকল্প গুলি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চাপাইল মধুপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, একাধিক শ্রমিকদের অভিযোগ শুক্র ও শনিবার সরকারী নিয়ম অনূর্যায়ী ছুটি থাকলেও দায়িত্বরত ইউপি সদস্যরা তাদের দিয়ে সপ্তাহে ৩/৪ দিন কাজ করায় অথচ নিয়ম অনূর্যায়ী ৫ দিন করানোর কথা থাকলে বাকি ২/৩ দিনের মজুরী আমরা পাইনা বলেও জানান তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুর প্রথম থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা মিলে বরাদ্দকৃত শ্রমিকের বিপরীতে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে সরকারী বরাদ্দের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটয়ারা করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন (হিরু) ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, আমরা তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here