পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছায় সড়ক দূর্ঘটনায় এসএসসি পরিক্ষার্থী সাইক মুন্তাছির সাব্বির (১৬) আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুর ও আসবাব পত্রে আগুন ও বাসস্টান্ড জিরোপয়েন্টে বাস ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে অতিরুক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী সাইক মুন্তাছির সাব্বির প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে পৌছালে পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি কোস চাপা দিয়ে চলে যায়। পথচারীরা সাব্বির কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্কুলের ছাত্ররা এসে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং আসবাবপত্র বাইরে এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখান থেকে ছাত্ররা বাসস্টান্ড জিরোপয়েন্টে এসে রাস্তার উপর রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং এক শ্রমিককে মেরে আহত করে। উত্তাপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা পুলিশ ছাত্রদের ঘিরে রাখে। ছাত্রদের সামাল দিতে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু সহ পুলিশের উদ্ধোতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দু’সাংবাদিকের সাথে শ্রমিকরা খারাপ ব্যাবহার করে। তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ছাত্রদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগে দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরবর্তিতে তাদের ছেড়ে দেয়। আটক হওয়া লিপু বলেন তাকে পুলিশ বেদম মারপিট করেছে। পুলিশ ও পৌর মেয়র ছাত্রদের আন্দোলন স্থগিত করালে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কিন্তু বাস শ্রমিকরা তাদের বাস ভাংচুর ও শ্রমিক মারধরের অভিযোগে কয়েকটি বাস রাস্তার উপর আড়াআড়ি করে বেরিকেট দিয়ে দেয়। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি রোগী বাহী এ্যামবুলেন্স চলাচল করতে পারছেনা। ফলে চরম ভোগান্তিতে সব ধরনের যাত্রী সাধারণ। বাস শ্রমিক নেতা শেখ মিথুন মধু বলেন, জেলার শ্রমিক নেতারা না আসা পর্যন্ত রাস্তা বন্দ থাকবে। ওসি আমিনুল ইসলাম বিল্পব বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবির আছে এবং পুলিশ মোতায়ন আছে।
পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, উত্তাপ্ত পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে তবে শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
খবর৭১/এসঃ