শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোর-১(শার্শা) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও সাংসদ আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, মাটির ঘরে জন্ম আমার, বাবা ছিলেন শ্রমিক। অনেক কষ্ট করে আমার বাবা খুলনা-কোলকাতা ট্রেনে বাদাম বিক্রি করতেন। আমি সেই বাবার সন্তান। যে বাবা একসময়ে আপনাদের মতো শরীরের ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্যিত টাকায় আমাদের সংসার চালাতেন। এজন্য, আপনাদের দেখলে মনে পড়ে যায় আমার বাবার কথা। তাইতো আমি যখনই সুযোগ পাই, তখনই আমার মিলের শ্রমিকদের সাথে একইভাবে কাজ করি। বুধবার(২৬-ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচনী পথ সভায় বেনাপোল স্থলবন্দর ৩নং গেটের সামনে অনুষ্ঠিত বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ ও ৮৯১’র আয়োজনে বিশাল এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন তিনি।
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫’র সভাপতি রাজু আহম্মেদ ও ৮৯১’র সভাপতি কলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মী সমাবেশের পরিচালনা করেন অত্র শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫’র সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ এবং ৮৯১’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানে।
এসময় শেখ আফিল উদ্দিন আরো বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের জাল ভেদ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তাইতো ১৯৭১ সালের ১৬-ই ডিসেম্বর একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের প্রেতাত্মারা আমাদের পিছু ছাড়েনি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বারংবার এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে। এক সময়ে স্বার্থকও হয়। এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে তারা সাধারন নাগরিকদের সাথে প্রভুগিরি শুরু করে। নির্মমভাবে হত্যা করে কৃষকদের। সারের অভাবে, তেলের অভাবে, বিদ্যুতের অভাবে তখন এদেশের মাটিতে ধান হতো প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৫ মন, এখন সেই একই জমিতে ধান হচ্ছে ২৫-৩০ মন। যা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বলে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলার মানুষকে ভালোবেসে এদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধু কণ্যা এদেশকে গোছাতে প্রথমে শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে জানুয়ারির এক তারিখেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার উদ্যোগ ছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। যার ফলপ্রসূ উন্নয়নের ফলে দেশের ৯৩ ভাগ বাড়িতে এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। সেচের জন্য বিদ্যুৎ তৈরি সর্বসময়। এখন আর কৃষককে বিএনপি-জামায়াতের সময়ের মতো সারের জন্য হা-হাকারে গুলি খেয়ে মরতে হচ্ছে না। সকল সিন্ডিকেটকে গুড়িয়ে দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার সারকে উম্মুক্ত করায় “সার” এখন কৃষককে ডাকছে বেশি বেশি নেওয়ার জন্য। যে কারণে তখনকার ১২-১৫ মনের স্থলে একই জমিতে এখন ২৫-৩০ মন ধান ফলছে। শিক্ষকসহ সকল চাকুরিজীবিদের বেতন বেড়েছে কয়েকগুণ। শিল্পকারখানা বাড়ায় বেকারত্বের হার কমেছে। আমরা চলেছি উন্নত দেশের বাসিন্দা হতে। আওয়ামীলীগ আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে সকল কুয়াশা ভেদ করে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে বেনাপোল থেকে চট্রগ্রাম পৌছাতে তিন দিনের স্থলে এক দিন লাগবে। তখন বেনাপোল বন্দরের কাজ বৃদ্ধি পাবে আরো কয়েকগুণ। ফলে শ্রমিকদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। তাই, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান শেখ আফিল উদ্দিন এমপি।
উক্ত শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়ারাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলী কদর সাগর, যুগ্ম সম্পাদক মহাতাপ উদ্দিন, আরিফুজ্জামান ভাদু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান ঘ্যানা, শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুন জেয়াদ্দার, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, বেনাপোল ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নেতা আব্দুস সবুর, রফিকুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বাক্কার বাক্কা, সাধারণ সম্পাদক ইয়ার আলী, যুবলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মল্লিক, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজনুর রহমান মজনু, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবলু, সাধারণ সম্পাদক শান্তিপদ গাঙ্গুলী, সাংগঠনিক সম্পাক বাবু, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল সর্দার, যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুল ইসলাম পারভেজ, সহ সভাপতি আল ইমরান, সুমন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান অপু, যুগ্ম সম্পাদক সুমন মাহমুদ, কামাল হোসেন, হাসানুজ্জামান তাজিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন রুবেল, অর্থ সম্পাদক সাইদুজ্জামান রিন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুমন, শেখ সাকিল, গণ শিক্ষা বিষয়ক সাকিব আল হাসান, ধর্ম বিষয়ক তৌহিদুজ্জামান, তথ্য ও গণ শিক্ষা জহির রায়হান, রিপন হোসেন, বেনাপোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান সজিব প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ