খবর৭১ঃভোগ-বিলাসিতায় ডুবে থেকো না। গরিব-দুঃখীদের কথাও মনে রেখো।’ বার্ষিক ক্রিসমাস ভাষণে এভাবেই ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যবাদের বার্তা দিলেন বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিশ্বজুড়ে ধনী-গরিবের মধ্যকার ‘বিশাল ব্যবধানের’ সমালোচনা করেছেন তিনি।
যিশুখ্রিস্টের জন্মও দরিদ্র পরিবারে হয়েছিল স্মরণ করিয়ে দিয়ে এর মধ্য থেকে সবাইকে জীবনের অর্থ খুঁজে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উন্নত দেশের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভোগবাদী জীবন ত্যাগ করে সহজ ও সাদাসিধে জীবনযাপনের।
বড়দিন উৎসবের একদিন আগে সোমবার ঐতিহ্যবাহী ‘ক্রিসমাস ইভ’ সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পোপ।
২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে আড়ম্বরের সঙ্গে ক্রিসমাস পালন করেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়। এদিনই ধরায় জন্ম নেন যিশু। জন্মের আগের দিন ক্রিসমাস ইভ পালন হয়। খ্রিস্টধর্ম মতে, যিশুর জন্ম হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে।
ক্রিসমাস ইভে মধ্যরাতে যিশুর জন্মের সময়ের আগ মুহূর্তে মানুষ গির্জায় জড়ো হন। এ সময়ের আগেই উপহার আদান-প্রদান করা হয়। রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে এ নিয়ে ষষ্ঠ বড়দিন উৎসব পালন করলেন ৮২ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস।
সোমবার ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটার্স বাসিলিসা গির্জায় এক ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেন তিনি। সেখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের সামনে দেয়া বক্তৃতায় পোপ বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করি : জীবনের জন্য এত সব জিনিসপত্র এবং জটিল প্রণালী কি সত্যিই দরকার? এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাদ দিয়ে কি আমি চলতে পারি না? খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করতে পারি না?’
বিশ্বের মানুষের প্রতি লোভ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষের কাছে জীবনের মানে হল অধিকার করা, অনেক জিনিস নিজের কাছে রেখে দেয়া। গোটা মানব ইতিহাসেই অতৃপ্ত লোভের ছায়া আছে।
কতিপয়ের প্রাচুর্যের বিপরীতে দেখা যায় অনেক মানুষ বেঁচে থাকার ন্যূনতম খাবারটুকুও পাচ্ছে না।’ ইয়েমেন ও সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অন্যায় যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানিয়েছেন পোপ।
খবর৭১/ইঃ
