হামলায় আহত গয়েশ্বরকে দেখতে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নসরুল

0
306

খবর৭১ঃনির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলায় আহত ঢাকা-৩ আসনের প্রার্থী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখতে গেছেন একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আহত গয়েশ্বরকে দেখতে তার নয়াপল্টনের কার্যালয়ে যান নসরুল হামিদ।

এ সময় নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি মর্মাহত। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এ সময় দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির এ প্রার্থীর গণসংযোগে হামলা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের শুভাঢ্যা বেগুনবাড়ী এলাকায় এ হামলা হয়।

এতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। হামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথা ফেটে গেছে। তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেগুনবাড়ী এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন।

পরিচর্যা ক্লিনিকের সামনে পৌঁছলে শতাধিক লোক লাঠিসোটা হাতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

অনেকে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন। পরে সেখান থেকে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করছিলেন।

হঠাৎ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শতাধিক নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, জয়নাল আবেদীন বাবুল, হীরা, আবু কাওসার, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম, শ্রমিক দল নেতা আমজাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রাশেলসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে রক্তমাখা পাঞ্জাবি পরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আসেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সেখানে আগে থেকেই ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক চলছিল।

তার মাথার কয়েকটি স্থানে ব্যান্ডেজ রয়েছে। এ সময় গয়েশ্বরকে অনেকটা নিস্তব্ধ দেখা যায়। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান।

ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, এরা আলবদর, আলশামসের মতো আচরণ করছে। হামলার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেন তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here