খবর ৭১ঃ নির্বাচনের চারদিন আগে নতুন সিইসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। নতুন সিইসি নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়েছেন জোট নেতারা।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান জোটের নেতারা।
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছ থেকে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনতো নয়ই, নিরপেক্ষ আচরণও আশা করা যায় না’ বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে নতুন সিইসি চাইলো জোটটি।
সন্ধ্যা ৬টার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, ২০ দলের প্রধান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না, রক্তের হলি খেলা হচ্ছে। সব জায়গায় আনাদের প্রার্থিদের হামলা করা হচ্ছে। মহিলারাও বাদ যাচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখিয়ে বলেন, এটি হলো ২০১৮ সালের নির্বাচন। রক্তাক্ত সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীও আক্রান্ত হয়েছে। কাউকে বাদ দিচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে এটা কোনো নির্বাচন নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ ও অকার্যকর। এটা আজ জাতির সামনে প্রমান হয়েছে। আমরা এ মুহুর্তে সিইসির পদত্যাগ চাই। এখনই চাই, তিনি পদত্যাগ করুন। এরপর ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতি পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। লিখিত বক্তব্য বলা হয়, সারাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা মামলা, নির্যাতনের বিষয়ে অবহিত করতে নির্বাচন কমিশনে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরোর নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের অভিযোগ শুনে সিইসি নুরুল হুদা সরকার দলীয় নেতার মত আচরণ করেছে।
এতে আরে বলা হয়, সিইসির ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাথে যে আচরণ করেছেনন, তা ছিলো অত্যন্ত অশোভন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তাৎক্ষিনক বৈঠক বর্জন করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবী করছি। রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান করছি, যাতে একজন নিরপেক্ষ সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কারণ এমন মেরুদণ্ডহীন কমিশনের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আহ্বান জানাবো জনগণের ঐক্য গঠে তুলে জনগণের দাবী আদায় করার।
পরে আজ প্রচারণার সময় হামলার শিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচারণ দেখে মনে হচ্ছে, ইসি ৭১ সালের আল বদর, আল শামস বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করতে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জনগণ যেভাবে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছে, ঠিক একইভাবে আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে।