খবর ৭১: বাংলাদেশি ভিসা জালিয়াতি ও ব্রিটিশ সরকারের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে চার বাংলাদেশিসহ পাঁচজনকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রিট্রিশ আদালত। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট শুক্রবার এ সাজা দেন।
মামলা চলাকালে দোষ স্বীকার করায় রেজাউল করিমকে সাড়ে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। অন্য দন্ডিতরা হলেন রেজাউলের ভগ্নিপতি এনামুল করিম (৩৪), কাজি বরকত উল্লাহ (৩৯), মোহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (৪৭)। এরা সবাই বাংলাদেশি বশোদ্ভূত। অপর দন্ডিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একাউনটেন্ট জালপা ত্রিপেদী (৪১)।
এদের মধ্যে রেজাউল, এনামুল ও বরকত গতকাল রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, চক্রটি ৭৯টি ভুয়া কোম্পানি খুলে বহু বাংলাদেশির জাল কাগজপত্র তৈরী করে। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ভিসার আবেদনে জালিয়াতির দায়ে এ পাঁচজনকে ভিন্ন ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বিচারক মার্টিন গ্রিনফিথ বলেন, প্রতারকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দফতরকে বোকা বানিয়ে ভিসা ইস্যু করানো। এবং এক্ষেত্রে তারা সফল। তাদের জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ জন ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের ভিসা পেয়েছেন। তারা এখন ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য কাগুজে সক্ষমতা পেয়েছেন। দুজন পেয়েছেন ব্রিটেনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ।
আদালতের প্রসিকিউটার জুলিয়ান ক্রিস্টোফার বলেন, এ জালিয়াত চক্রের জালিয়াতি ব্রিটেনে সমসাময়িক সব জালিয়াতিকে হার মানিয়েছে।
এ চক্রের মূল হোতা আবুল কালাম ওরফে রেজাউল করিম বলে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। শনিবার দিনভর ফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রেজাউল করিমের ব্যাপারে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক শনিবার বিকেলে জানান, এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না।