মোহাম্মদ নওয়াব আলীঃ
ছড়াকার অধ্যাপক বদরুল আলম খানের শোক সভায় বক্তারা বলেন, তিনি ছিলেন একজন শক্তিমান ছড়াকার। তার ছড়া ছিল বিভিন্ন বিষয় নির্ভর। তার ছড়ায় সমাজ বিনির্মাণের কথা, আমাদের চারপাশের অসঙ্গতির কথা, মানুষের ভালোবাসার কথা, শিশুদের কোমলমানসিকতার কথা সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে। তার ছড়া সমজদার পাঠককে অনুপ্রেরণা দেয়, দোলা দেয়। খুব কম সময়ে তিনি আমাদের মাঝ থেকে চলে যাওয়ায় ছড়াসাহিত্যের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত গ্রন্থগুলো আমাদেরকে চর্চা করতে হবে। তার মেসেজ সর্বজনের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। তাহলে তিনি আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
গতকাল ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টেশন রোডস্থ বাসিয়া প্রকাশনী কার্যালয়ে ছড়াকার বদরুল আলম খান স্মরণে শোকসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
দক্ষিণ সুরমা সাহিত্য পরিষদ ও মাসিক বাসিয়া পত্রিকার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ও মাসিক বাসিয়া পত্রিকার সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
শোক সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক সীতাব আলী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য রোটারিয়ান মতিউর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবি নাজনীন আক্তার কণা, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক মামুন রশীদ, গল্পকার জামান মাহবুব, লতিফা শফি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল আলম খান, ছড়াকার আবদুল বাসিত মোহাম্মদ ও পাঠানটুলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আহাদ।
দক্ষিণ সুরমা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মতিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় শোকানুভূতি প্রকাশ করেন মরহুমের পরিবারের পক্ষে জাহেদুল আলম খান ও কবি কামরান ইবনে দিলওয়ার।
আলোচনায় অংশ নেন শিশু সাহিত্যিক তাজুল ইসলাম বাঙালি, অ্যাডভোকেট মো.ফজলুল হক, মাসিক মাকুন্দা সম্পাদক মো খালেদ মিয়া, মাওলানা মো. মকাদ্দাছ জালালাবাদী, হাফিজ ফখরুল ইসলাম, কাশবন সম্পাদক কবি আনোয়ার হোসেন মিছবাহ্, কবি ধ্র“ব গৌতম, গীতিকবি হরিপদ চন্দ, কণ্ঠশিল্পী এম এম শাহ্জাহান, কবি আবু জাফর মো: তারেক, গল্পকার শাহ্ ফারজানা আহমেদ, ছড়াকার ইমাতিয়াজ সুলতান ইমরান, গল্পকার শহিদুল ইসলাম লিটন, কবি সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, কবি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, কবি বিজন চন্দ্র দাস বিজয়, কবি এম আলী হোসাইন, ফাতেমা বেগম, শেখ শাকিল আহমদ, মো. নাহিদ আহমদ চৌধুরী, আবু সালমান চৌধুরী, আমিনা বেগম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ আজাদ, নাজিমুদ্দীন সুনামগঞ্জী, শেখ হাসান ইমাম, হাজী মো. আবদুল লতিফ, মো সুমন, আকরাম হোসেন, মাশশুদ আহমদ, মারুফ আহমদ, নাট্যকার মো দুলাল ও জুনেদ আহমদ প্রমুখ।
সবশেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাজী মৌলুল হোসেন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. ফারুক আহমদ।
খবর৭১/ইঃ