খবর৭১:তদন্তাধীন কোনো মামলায় মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পুলিশের জিআর (সাধারণ নিবন্ধন) শাখার মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রি করার নিয়ম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নিয়ম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আইন সচিব, ঢাকার সিএমএম কোর্টকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলীর করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক।
অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী সাংবাদিকদের জানান, একজন ব্যক্তির জামিন আদেশ হওয়ার পর দায়রা জজ আদালত, কিংবা সিএমএম আদালতে বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোন প্রক্রিয়ায় জামিননামা দাখিল করতে হবে তা ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারের ১২২(১) ও ১২২(২) ধারায় বলা আছে। কিন্তু এই বিধানের তোয়াক্কা না করেই পুলিশের জিআর শাখার মাধ্যমে এতদিন জামিননামা দাখিল করতে হতো। সেখানে পাঁচটি ধাপে জামিন আদেশ তৈরি করে পাঠানো হয় বিচারকের কাছে।
বিচারকের সই হওয়ার পর সেই আদেশ কারাগারে পাঠালে মুক্তি মিলত বিচারপ্রার্থীর।
এই প্রক্রিয়ায় পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হতো সংশ্লিষ্টদের। এ পরিস্থিতিতে ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো গত ১২ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পুরনো ওই প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। তিনি আইনের বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট আদালতের সাঁটলিপিকারের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করার আদেশ দেন। প্রায় এক মাস এ প্রক্রিয়ায় জামিননামা দাখিল হয়। কিন্তু তার বিদায়ের পর নতুন সিএমএম মো. জাহিদুল কবির গত ১৬ অক্টোবর পৃথক এক আদেশে গত ১২ সেপ্টেম্বরের আদেশ বাতিল করেন।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে আবার আগের নিয়মে পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল ও রেজিস্ট্রির বিধান চালু করা হয়। এ অবস্থায় গত ১৬ অক্টোবরের ওই অফিস আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম জানান, হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে জামিন প্রার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানি অনেকাংশে কমবে। বিচার প্রার্থী মানুষের সময়ের অপচয় রোধ হবে।
খবর৭১/জি