হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকের পাথর ব্যবসায়ীদের ক্রাশার মিলগুলো কোম্পানীগঞ্জের পাথর ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন কর্তৃক অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ছাতকের ব্যবসায়ীদের ২৩ ক্রাশার মিল প্রায় এক মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে মিল মালিকদের প্রতিদিন লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান পাথর ব্যবসায়ীদের পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের পাথর ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী জটিলতা নিরসনে গত ১৫ অক্টোবর সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উভয় উপজেলা পাথর ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ব্যবসা-বানিজ্য স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার। ছাতকের ব্যবসায়ীরা মেনে চললেও কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশ অমান্য করে যাচ্ছেন। উপরন্ত কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ছাতকের ব্যবসায়ীদের ২৩টি ক্রাশার মিল বল পূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়। কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন প্রায় এক মাস ধরে ক্রাশার মিলগুলো অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ছাড়া এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানীতেও সমিতির লোকজন অনৈতিকভাবে বাধা প্রদান করছে। ফলে ছাতকের পাথর ব্যবসারা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায়ী স্বার্থে বিষয়টি জরুরী মনে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান ছাতকের ব্যবসায়ীমহল।
খবর৭১/ইঃ