খবর৭১ঃসড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর রাজধানীর সড়কে শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল। দুইদিনের ভোগান্তি শেষে আজ সকাল থেকেই পরিবহনগুলোতে লক্ষ্যণীয় যাত্রী দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় দেখা যায়, এই রুট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যের পরিবহনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন স্থান থেকে এ রুট ব্যবহার করা পরিবহনগুলোও যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।
এসব পরিবহনের মধ্যে রয়েছে- হিমাচল, বিহঙ্গ, সেফটি, মিরপুর লিংক, আকিক, অছিম, নূর-এ মক্কা, রাজধানী ইত্যাদি।
এদিকে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর চিরাচরিত ‘পাল্লাপাল্লিতে’ দেখা গেছে একই গন্তব্যের অছিম ও নূর-এ মক্কা নামে দু’টি পরিবহনের বাসকে। আর দুইদিনের ভোগান্তি শেষে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে সারা দেশের শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সবচেয়ে বড় মোর্চা সংগঠন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এ সংগঠনের প্রধান নেতা ও সরকারের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান রবিবার সাংবাদিকদের এ আন্দোলনের বিষয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
রাজধানীর হাজার হাজার মানুষ দিনভর হেঁটে কার্যক্ষেত্রে গেছেন। বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইডশেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-উবারের মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যস্থলে গেছেন অনেকে। কিন্তু মোটরসাইকেলের চালক, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক কিংবা আরোহীদের মুখেও পোড়া মবিল মেখে দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামা শ্রমিকরা। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
পরে সোমবার রাতে আগামী ২১ দিনের মধ্যে সরকার আট দফা দাবি না মানলে ৯৬ ঘণ্টার কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন পরিবহন শ্রমিক নেতা ওসমান আলী।তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমাদের কর্মসূচি আপাতত শেষ। এরপর আমরা সরকারকে আবারো নোটিশ দেব। ২১ দিনের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ৯৬ ঘণ্টার কর্মসূচি দেব।
আগামী ৩ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নোটিস দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খবর৭১/ইঃ