খবর৭১:মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাহুবলে রাস্তার উপর দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানোর অভিযোগে একটি লোকাল বাসের চালককে জরিমানা করার জের ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাস শ্রমিকরা। এসময় মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। আর এতে করে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টায় পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শ্রমিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের বাজারে ঢাকা (মেট্রো জ ১১-২৮ ৯৪) এর একটি লোকাল বাস রাস্তায় উপর দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানোর অভিযোগে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ বাস শ্রমিকরা ঝড়ো হয়ে পুটিজুরি বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাইসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সামাধান করে দেবেন বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, মহাসড়কের দিনের পর দিন সিএনজিসহ কাগজপত্র বিহীন অনেক যানবাহন চলাচল করছে। তার কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। অথচ রাস্তায় দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানো কারণ দেখিয়ে বাস চালককে জরিমানা করা হয়েছে। জেলা মটর মালিক গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সিএনজি ও ফিটনেস বিহীন গাড়িসহ বহু যানবাহন চলাচল করছে। প্রশাসন তার কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ যাত্রী উঠানোর কারণ দেখিয়ে বাস চালকে জরিমানা করায় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। বাহুবল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জসিম উদ্দিন জানান, শুধু রাস্তার উপর দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানো নয় গাড়ির কাগজ পত্র ও লাইসেন্স চাইলে চালক কোন কাজগ পত্র ও লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। তাই তাকে জরিমানা করা হয়েছে। বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, বাস শ্রমিক ও প্রশাসনের মধ্যে ভুলবুঝাঝির কারণে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সমাধান করা হয়েছে। মহাসড়ক থেকে শ্রমিকরা বরোধ প্রত্যার করেছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হবিগঞ্জে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই মেয়র জি কে গউছ
মঈনুল হাসান হবিগঞ্জপ্রতিনিধিঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন- হবিগঞ্জে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হলে প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী মাঠে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। ভোটারদের আস্তা অর্জনে নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে হবে। কোনো পাথানো নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ আর গ্রহন করবে না। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে জেলা যুবদলের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় মেয়র জি কে গউছ আরও বলেন- হবিগঞ্জে পুলিশের গায়েবী মামলায় মৃত মানুষ আসামী হয়, শ্রমিকদলের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে গায়েবী মামলা হয়, একটি রাজনৈতিক দল পুলিশ পাহারায় শহরে মিছিল করে, আরেকদল পুলিশের কারণে রাস্তায় নামতে পারে না। প্রশাসনের এসব পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিহার না করলে হবিগঞ্জে অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন কমিশনকে এখনই থেকেই এসব বিষয় ভাবতে হবে, হবিগঞ্জে যারা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হলে হবিগঞ্জের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে না।মেয়র বলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই সুত্রেগাতা। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নির্বাচন করতে হলে যুবদলকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। অতিতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যেভাবে যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে দায়িত্ব পালন করেছে, বর্তমান অনির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলেও যুবদলকে অতিতের মত দায়িত্ব নিতে হবে। হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে যুবদলকে অতন্ত প্রহরীর ন্যায় কাজ করতে হবে।জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি কোহিনুর আলম, যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সিতু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদল সভাপতি শাহ মশিউর রহমান কামাল, বাহুবল উপজেলা যুবদলের সভাপতি হাজ্বী সামসু মিয়া, বানিয়াচং উপজেলা যুবদল সভাপতি আমির হোসেন, আজমিরিগঞ্জ উপজেলা যুবদল সভাপতি মাসুদ পারভেজ, চুনারুঘাট উপজেলা যুবদল সভাপতি আব্দুল মতিন, মাধবপুর উপজেলা যুবদল সভাপতি এনায়েত উল্লাহ, পৌর যুবদলের সভাপতি হাজ্বী ফিরোজ, হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আলম স্বাজন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ চৌধুরী রিপন, আজমিরিগঞ্জ পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন কবির, মাধবপুর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কবির খানঁ চৌধুরী, চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এড মোজাম্মেল হক, বাহুবল উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান নানু, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাই শিবলু, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আল হেলাল, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি অলিউর রহমান অলি, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মামুন, মো: আলী হোসেন, আমিরুল ইসলাম আখন্জী, নুরুল হুদা, মিলন খাঁন, মো: সফিক মিয়া, শফিক উদ্দিন খাঁন, জুয়েল রানা, দেলোয়ার হোসেন রানা, জসিম উদ্দিন, মো: ফজল মিয়া, মনিরুল হক রানা, হাবিব মিয়া, এম ডি সোহাগ, আবু তালিব বাচ্চু প্রমূখ।