উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: ঢাকের বাদ্য আর সিঁদুর খেলার মহাআনন্দেও মধ্য দিয়ে নড়াইলে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়েছে। কিন্তু এরপরেও রয়ে গেছে পূজার রেশ। এখনও বিভিন্ন এলাকায় চলছে মেলা। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু বলেন, এ বছর জেলায় ৫শ ৬৩টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সুষ্ঠু ও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী নড়াইলবাসী সব সময়েই ধর্মীয় উৎসব ও সামাজিক কর্মকা-ে পরষ্পর সহযোগিতা করে চলে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সকল উৎসবে আমরা পরস্পর সহযোগিতা করে যাবো এই প্রত্যাশা করি। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন করতে পেরে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ধর্মীয় সব উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি.) মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীতে, পুকুরে ও বিলের পানিতে বিসর্জন দেয়া হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় মেলা বসেছে। জানা গেছে, সকালে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের দশমী পূজা সম্পন্ন হয়। বিকেলে সিঁদুর খেলা শেষে শুরু হয় প্রতিমা বিজয়নের পালা। নড়াইল শহরের বাধাঁঘাট, চরের ঘাট, সদর উপজেলার গোবরা, শেখহাটি, লোহাগড়া উপজেলা শহর, নলদী, কালিয়া উপজেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এছাড়া পুকুর ও বিভিন্ন বিলের পানিতেও প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এ উপলক্ষে এসব স্থানে মেলা বসে। মেলায় কসমেটিক, হস্তশিল্প, কারুশিল্প ছাড়াও নানা ধরনের পণ্য সামগ্রীর বিক্রি ছিল জমজমাট। তবে মিষ্টির দোকানের নানা আকারের প্রকারের মিষ্টি দেখে দর্শনার্থীরা লোভ সংবরণ করতে পারেননি। উজ্জ্বল রায়, নড়া
খবর৭১/ইঃ