সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের গলাকাটা লাশ ও অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক পলাতক রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, মিনারুল মিয়া (২৫), মজনু মিয়া (৩০)। মিনারুল নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে। মজনু মিয়া একই এলাকার বামানিয়া গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের হাছিনা বেগমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাথ গ্রামের এহসান মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার নিকটাত্মীয় দুই বন্ধু মিনারুল মিয়া ও মজনু মিয়া তার বাসায় বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাদশা মিয়ার বাবা এহসান মিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের পাশের ঘরে দরজা খোলা অবস্থায় একজনকে বিছানায় ও অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগানো রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের গলাকাটা ও অন্যজনের গলায় ফাঁস লাগনো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাদশা মিয়া ও তার বাবা এহসান মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক হাসিনা বেগম পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ অ ল খোরশেদ আলম।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।