খবর ৭১: বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মাদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ পুলিশই সর্বপ্রথম রাজারবাগে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে মোকাবেলা করার জন্য অস্ত্রাগারগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুলে দিয়েছিল। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি। যে পাকিস্তানের সাথে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে। সেই পাকিস্তানরা এখন আমাদের সমক্ষম হয়ে চায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের এ উন্নয়নের পথে জননেত্রী ৩টি বাধা উপলদ্ধি করেছেন। তা হলো মাদক, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ। এই ৩টি নির্মূল করতে পারলে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবো। বঙ্গবন্ধুর তার ভাষণে বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবা না’ আমাদের কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাবোই
তিনি বলেন, বাড়ির আশেপাশে অনেক অপরাধ হয়, এসব অপরাধের খবর গোপনে পুলিশকে প্রদানের কথা বলেন জাবেদ পাটোয়ারি।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল না করে বাংলাদেশ পুলিশ ঘরে ফিরবে না। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রধান বাঁধা উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধে নেমেছি। আমরা একটি সুখি সমৃদ্ধশালী সোনালী দিনের অপেক্ষা করছি। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বাংলাদেশ এখন উপচে পড়া ঝুড়ি। দেশকে আমরা উন্নয়নের সোপানে নিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়নের পথে যদি কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাস কিম্বা অগ্নি সন্ত্রাসের চেষ্টা করা হয় তাহলে পুলিশ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে। কোন পুলিশ সদস্যও যদি মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিতবোই। এজন্য সাধারণ জনগণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।কোন নিরিহ মানুষ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশের এ উন্নয়নের মহাসড়কে মাদক, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ যাতে বাধা না দাড়ায় সে কারণে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্সে।
তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন , কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। কোন নিরীহ মানুষকে যদি কোন পুলিশ অযথা হয়রানি করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য কেউ হয়রানি হলে পুলিশের বিভিন্ন ফোন নাম্বার ও ওয়েব সাইটে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ড. পাটোয়ারি। এজন্য সাধারণ জনগণকেও কিছু নৈতিক দায়িত্ব পালনের কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মাদক, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি(ঢাকা) মারুফ হাসান, খুলনা বিভাগী কমিশনার(অতিরিক্ত) নিশ্চিন্ত পোদ্দার, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন, ৩৩বিজিবি’র অধিনায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু,পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, জেলা পুলিশিং কমিউনিটি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা: আবুল কালাম বাবলা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোন্সাআরাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে মাদক ধ্বংস এবং কিছু মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের শপথ বাক্য পাঠ করার আইজিপি। পরে তাদের আয়ের উৎসব হিসাবে ভ্যান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালন করেন, বিটিভি’র উপস্থাপন মোস্তফা জামান।