খবর ৭১ঃ এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা ব্যাটসম্যান এবং অলরাউন্ডারকে ছাড়াই আজ এ জয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহমান।
এরআগে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৩৯ রানে অলআউট হলো টিম টাইগারস।
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করা ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ এদিন ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। ইমরুল ৯ ও মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করেন। ইনিংসের শুরুতে ও শেষ দিকে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান একাই ৯ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
দলীয় ১২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিঠুনের হার না মানা ১৪৪ রানের জুটি ভাঙেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী। ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৮৪ বলে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে সাজঘরে ফিরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের শুরুতেই কোনও রান না করে সাজঘরে ফিরেন দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে ৪১ রান করা লিটন এদিন ১৬ বলে মাত্র ৬ রান করে জুনায়েদ খানের দ্বিতীয় শিকার হন।
ভরসা ছিল অভিজ্ঞ মুমিনুল হকের ওপর। সাকিবের ইনজুরিতে একাদশে জায়গা পাওয়া মুমিনুলও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ৪ রান।
শেষ দিকে মিরাজের ১১ বলে ১২ ও ক্যাপ্টেন মাশরাফির ১৩ বলে ১৩ রানে ভর করে সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে জুনায়েদ খানের ৪ উইকেট ছাড়াও শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী ২টি করে এবং সাদাব খান একটি উইকেট নেন।