ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের সুন্দর খালি এলাকায় মো: আলমাস (৪৮) এক ব্যাক্তির নিজ বাড়ির পার্শবর্তিী গহীন বাগান থেকে জুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৭ সেপ্টম্বর) সকালে তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসি। পরে এলাকাবাসি বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেস্বারকে খবর প্রদান করেন এবং মেম্বার ভোলা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাগানের ভিতর থেকে জুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরত হাল শেষে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় লাশ। তবে আলমাসের স্ত্রীর অভিযোগে এর ভিত্তিতে তার ছোট ভাই বাবুল কে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ এর ধারনা জমিজমার বিরোধের জের ধরে এ হত্যা কান্ড ঘটতে পারে। উল্লেখ্য যে, আলমাস তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। সে তার বাবার ঘরে থাকতো ও ছোটো ভগ্নিপতির কে-জাহান মার্কেটের ইত্যাদি স্টোরে ছোটো বেলা থেকে দেখাশুনা করতো। এক ছেলে ও এক মেয়ে ,স্ত্রী নিয়ে ছিলো তার সংসার। বাবুল বাড়ির পাশে অন্য জায়গায় ঘর করে বসবাস করতো। বাবার জমি নিয়ে এর আগে অনেক বার দু-ভাইয়ের মধ্যে মারামারি ও মামলা মোকাদ্দমা হয়। তবে আলমাসের স্ত্রী বাবুল এর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো না বলে জানা যায়। আলমাস শুধু একা বাবা মায়ের সাথে বাড়িতে থাকতো ও মাঝে মাঝে শ্বশুর বাড়িতে যেতো। আলমাস বাপ্তা ইউনিয়নের সুন্দর খালি এলাকার মিয়াজান হাওলাদার বাড়ির আবু ছিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে।
এলাকাবাসি জানান, ১৬ সেপ্টম্বর রোববার রাতে ভোলা সদর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পথে যে কানো সময় তার পথ রোধ করে তার পার্শবর্তি বাগানে কাঠাল গাছের সাথে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করে। সকাল বেলা তার বাবার খোজাঁ খুজির কথা শুনে সকাল বেলা একই বাড়ির হারুন হাওলাদের ছেলে রহমান (৪) বাগানে সুপারি গাছের খুইল খুজঁতে গেলে সে দেখতে পায় এবং সে বলে আলমাস বাগানে দাড়িয়ে আছে। পরে সবাই তার জুলন্ত লাশ দেখতে পায়। ভোলা থানার (ওসি) ছগির আহমেদ জানায়, এই ঘটনায় আমরা আলমাসের ছোট ভাই বাবুল আটক করেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝতে পারবো।
খবর৭১/এসঃ