খবর ৭১ঃ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
তিনি বলেছেন, ‘‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দল ও সমর্থকদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা, প্রচারণা চালানো, ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়াই সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।’
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনের পরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অহিংস আচরণের আহ্বান জানাতে হবে।’
বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ গড়ে তোলায় জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞ সমাজ, মিডিয়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে এ কাজ করতে সক্ষম সম্ভব বলেও জানান বার্নিকাট।
এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেক বলেন, ‘মানবাধিকার সনদে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এটি অর্জন করতে হলে নিয়মিত নির্বাচন অপরিহার্য। তাই ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এ উদ্যোগে আমরা অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের পাশে এ যাত্রায় থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করি বলেও মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে প্রধানমস্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কেউ মিথ্যা প্রচারণা না চালায়, অনর্থক গালি না দেয় এবং আক্রমণ না করে, তবে শান্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশও চাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায় বিচার জরুরি।’
উল্লেখ্য, ‘শান্তিতে বিজয়’ শীর্ষক এই নির্বাচনি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সারাদেশের ৪০টি জেলা থেকে ৪শ রাজনীতিবিদ অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও।