খবর ৭১: একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে সমান অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে- নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে- সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে অহিংস আচরণ করতে হবে। সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ ও তার নাগরিকদের স্বার্থহানি করতে চায়।
বার্নিকাট বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচারণা চালানো এবং ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তি, পারস্পরিক সহনশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব- বাংলাদেশে এ সবকিছুরই রয়েছে এক জোরালো ঐতিহ্য। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অবদান রাখতে পারব। এজন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞ সমাজ, মিডিয়া -এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে এ কাজ করতে সক্ষম সম্ভব বলে জানান বার্নিকাট।।
খবর ৭১/ই: