খবর৭১ঃজিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে আসেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার কারাগারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে ছিলেন। খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় কাস্টোডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এতে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারবেন না বলে জানানো হয়। পরে আদালত মামলাটির শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিচারক আদালতের এজলাসে ওঠেন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন। এ ছাড়া আদালতে তিনি একটি দরখাস্ত দেন।
দরখাস্তে তিনি আদালতকে অবহিত করেন যে, সুপ্রিমকোর্টের অনুমতি ছাড়া পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত ঘোষণা করে গেজেট করা সংবিধানের পরিপন্থী। শুনানিতে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ।
মামলার অপর আসামি জিয়াউল ইসলামের আইনজীবী আমিনুল হক এ বিচার কার্যক্রম আইনসম্মত নয় উল্লেখ করে মামলার কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি বলেন, ১২ ও ২৪ ফিটের একটি কক্ষে আদালত পরিচালিত হতে পারি কিনা তাও বিবেচনা করা প্রয়োজন। এখানে বসার কোনো জায়গা নেই, সিনিয়রদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ রূপ একটি কক্ষকে মোটেও উন্মুক্ত আদালত বলা যায় না। বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়েছে।
এর পর দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি আজ যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধার্য রয়েছে। একদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করছেন, অন্যদিকে আদালত বসা নিয়ে প্রশ্ন করছেন।
তাদের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, খালেদা জিয়া আসতে পারবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষ কাস্টোডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া জামিনে থাকবেন কিনা অথবা মামলাটি কিভাবে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ বিষয়ে তার আইনজীবীদের শুনানি করতে বলেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় আবেদন করেন। তারা বলেন, আমাদের একটু যুক্তিসংগত সময় দেন। তখন বিচারক বলেন, কালকে আপনারা এ বিষয়ে শুনানি করবেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই আদালত চলতে পারে না। এখানে ন্যায়বিচার নেই। যত ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। আমি বারবার আদালতে আসতে পারব না। আর এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে।
খবর৭১/ইঃ