গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ সদস্য আহত ও পুলিশের কাজে বাধা দান করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, সংঘর্ষে নিহত ও পুলিশের মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার এড়াতে দক্ষিন ফুকরা গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেফতারের ভয়ে যুবক ও বয়স্করা অন্যত্র পালিয়ে রয়েছেন। বাড়ী গুলোতে কেবল বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা অবস্থান করছেন। গ্রামের রাস্তা-ঘাটগুলো মানুষ শূন্য। সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোনো কাজ ছাড়া কেউই ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন না। গ্রাম জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আজিজুর রহমান জানান, সোমবার কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে একজন নিহত, কাশিয়ানী থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দান করার অভিযোগে ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
কাশিয়ানী থানার এস আই হিমেল বাদী হয়ে সোমবার গভীর রাতে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যে কোনো পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোমবার কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে জমিজমা নিয়ে হারুন-অর-রশিদ মোল্যার সাথে সাইফুল সিকদারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা এ সংঘর্ষে কাশিয়ানী থানার ওসি, ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
মারাত্মক আহত সাইফুল সিকদারের সমর্থক হিংগুলকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফেরিঘাটে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার হিংগুল সরদারের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।
খবর৭১/ইঃ
