খবর ৭১ঃকোরবানির ঈদ বলে কথা। তাই খাবার তালিকায় অন্য যা কিছু থাক না কেন, গরুর মাংস অবশ্যই থাকে।ওজনাধিক্য, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা।
এসব সমস্যার কারণে গরুর মাংস খেতে চান না অনেকে। তবে কিছু নিয়ম মেনে রান্না করলে তেমন একটা ক্ষতি করে না গরুর মাংস। তবে অবশ্যই পরিমান কম খেতে হবে। অতিরিক্ত গরুর মাংস আপনার পেটে চর্বি জমায়। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
ওজন কমাতে আধপেটা খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে পেট ভরে খেয়েও কিন্তু ওজন কমানো যায়। তবে খাবারটা খেতে হবে হিসাব করে, ক্যালরি মেপে।আর গরুর মাংস রান্নার সময় অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
গরুর মাংস কেন খাবেন?
মাংস হচ্ছে প্রাণিজ আমিষ, আয়রন, জিংক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি-১২-এর অন্যতম উৎস। সাধারণভাবে একজন মানুষ দিনে ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম বা সপ্তাহে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবে।
কিন্তু রেড মিট বা গরু ও খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি বেশি, তাই অতিভোজনে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই একটু সতর্কতার সঙ্গে ও মাত্রা বুঝে মাংস খাওয়া উচিত।
চর্বি আলাদা করে ফেলুন
মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন। মাংস পাতলা ও ছোট টুকরা করুন। এতে চর্বি কমে যাবে। ফলে পেটে তেমন একটা চর্বি জমাতে পারবে না।
অল্প তেলে রান্না
অনেক মনে করেন অধিক তেলে রান্না সুস্বাদু হয়। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। মাংস রান্না করার সময় বেশি তেল দিয়ে ভুনা না করে অল্প তেলে রান্না করুন। আরও ভালো হয় তেল ছাড়া বেক, গ্রিল, স্টেক ইত্যাদি করে খেতে পারলে।
উচ্চতাপ
উচ্চতাপে দীর্ঘ সময় ধরে মাংস রান্না করলে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়। তাই অল্প তাপে মাংস রান্না করুন।
সেদ্ধ করে পানি ফেলে নিন
মাংস রান্নার আগে সেদ্ধ করে পানি ফেলে নিন। এতে মাংসের চর্বি অনেকটাই কমে আসে। এছাড়া রান্না করা মাংস বারবার গরম করবেন না। মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়।
মাঠা, জিরা পানি বা টক দই
কোল্ড ড্রিংকস, ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টক দই রাখুন। সর্বশেষ উৎসব-আনন্দে নিয়মিত ওষুধ সেবন যেন বাদ না পড়ে। নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা বাদ দেবেন না।
খবর ৭১/ইঃ