এমন এমন আতাউর রহমান জীবন, জয়পুরহাট।
জয়পুরহাটের কালাই ও পাঁচবিবি উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ ভিজিএফের চোরাই চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে কালাই উপজেলার বালাইট গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে ৯৫ বস্তা ও পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপি কার্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে ১৪০ বস্তা চাল উদ্ধারের দাবি উভয় উপজেলা প্রশাসনের।
জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ভিজিএফের চাল সরবরাহ করে সরকার। জেলার ক্ষেতলাল পৌরসভা ও পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউপিতে এ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও চাল চুরি করা হয়েছে, স্থানীয়দের এমন অভিযোগে দু’টি উপজেলা প্রশাসনের পৃথক পৃথক অভিযানে এসব চাল উদ্ধার করে। ভিজিএফের চাল চুরির সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, ক্ষেতলাল পৌরসভার ভিজিএফের চাল কালাই উপজেলার বালাইট গ্রামের আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৯৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়া উদ্দিন বাদী হয়ে কাসেমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। উদ্ধার হওয়া চালগুলো ক্ষেতলাল পৌরসভার বলে দাবি করেছেন ক্ষেতলাল পৌরসভার খলিলুর রহমান ও আরমান আলী নামে দু’জন কাউন্সিলর।
তাদের অভিযোগ, হতদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে ভিজিএফের চাল প্রদানের জন্য মাস্টারোলের তালিকায় তাদের কাছ থেকে নেয়া কোন ব্যক্তি চাল পায়নি। মেয়র ওই চালগুলো গোপনে বিক্রি করেছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।
অপর দিকে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেছেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে, স্থানীয়দের এমন অভিযোগে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে ১৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন তিনি পরিষদে ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন না।
তবে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতার আনার আশ্বাস দিলেন উভয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।