নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ হত্যাকান্ডে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

0
380

এসকে,এমডি ইকবাল হাসান ,লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় হয়রানি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম মুন, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক সিহানুক রহমান, লোহাগড়া পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি স ম ওহিদুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগ লোহাগড়া পৌর শাখার আহবায়ক মিজানুর রহমান মিন্টু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মোজাম খান, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আশিক প্রমুখ। বিভিন্ন পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
পরে লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স ম ওহিদুর রহমান বলেন, পলাশ হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমাদের আসামি করা হয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী রেকর্ড হয়েছে। কুমড়ি পশ্চিমপাড়ার সৈয়দ ইলিয়াস আলীর ছেলে সৈয়দ আল আমিন (২৭), কোটো শেখের ছেলে শান্ত শেখ (২২) ও সৈয়দ আলী আহম্মেদের ছেলে সৈয়দ রোমান আলী (২২) এবং গোপীনাথপুরের মফিজার শেখের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (২৩) পলাশ হত্যায় সরাসরি জড়িত । গত ২৫ মার্চ লোহাগড়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে আল আমিন, গোলাম কিবরিয়া ও রোমান আলী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং পলাতক শান্তর সম্পৃক্ততর কথা জানিয়েছে। নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান প্রযুক্তির সাহায্যে পলাশ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ হত্যাকান্ডে জড়িত একজন পলাতক আছেন।
লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পলাশ হত্যাকান্ডের সময় তার ভাই সাইফুর রহমান হিলু, মুক্ত রহমান ও তুহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার যে বর্ণনা দিয়েছেন; তা মিথ্যা। তাদের মোবাইল ট্রাকিং করলে দেখা যাবে, পলাশ হত্যার ঘটনাস্থলে তারা তিন ভাই উপস্থিত ছিলেন না। অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা নিজ চোখে পলাশকে হত্যা করতে দেখেছেন। কেবলমাত্র হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ১৫জন আসামি করে তাদের হয়রানি এবং পরিবারগুলোর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করা হচ্ছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত খুনিদের নামে চার্জশিট দেয়ার দাবি জানান তিনি।
মাসুদুজ্জামান আরো বলেন, পলাশদের পরিবার ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী ছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান বলেন, নিহত পলাশসহ তার ভাইদের নামে কুমড়ি গ্রামে ইলিয়াস হত্যা, তনু ফকির হত্যা, বজলার শিকদার হত্যাসহ ১২ থেকে ১৩টি মামলা বিচারাধীন আছে। সেইসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন পলাশকে হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধীতে স্বীকারও করেছে। কিন্তু সেই দায় নিরিহ কিছু মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুর্বৃত্তরা লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহত পলাশের ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার বাদী সাইফুর রহমান হিলু বলেন, এজাহারে উল্লেখিত আসামিরাই আমার ভাই পলাশকে হত্যা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ওসি ((তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলটি অধিকতর তদন্ত শেষে যথাসময়ে চার্জশিট দেয়া হবে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here