খবর ৭১ঃতথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত থেকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে শহিদুলকে রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে বোর্ড গঠন করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেন আদালত। সেদিন বাকি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অ্যাডভোকেট তানিম হোসেন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে রোববার রাতে শহিদুল আলমকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
পরে রমনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, দেশের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শহিদুল আলম।
খবর ৭১/ইঃ