খাল-বিলে মাছ ধরে জিপিএ-৫ ইন্দ্রোজিত ম্যাজিষ্ট্রেট হতে চায়

0
332

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: মাছ না ধরলে সংসারে ভাতের হাড়ি জ্বলে না হোগলাডাঙ্গা গ্রামে জেলে পরিবারের ইন্দ্রোজিতের জিপিএ-৫ লেখাপড়া করানোর সামর্থ নেই তার গরিব বাবার! কখনও মাছ ধরে, অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে, কখনও পড়িয়ে ইন্দ্রোজিতের জিপিএ-৫ আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, জানাগেছে, নড়াইলের সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামে জেলে পরিবারের সদস্য গোবিন্দ বিশ্বাসের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ইন্দ্রজিত। অন্য দু’ভাই স্কুলে লেখাপড়া করে। বাড়িতে বসবাসের ৬শতক জমি ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। একটি মাত্র ঘরে ইন্দ্রজিতের দাদী, বাবা-মাসহ ৬জন বসবাস করে। অভাবের সংসার। বাবা গোবিন্দ মৌশুমের সময় স্থানীয় বিল-খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। অন্য সময় নড়াইল শহরে আড়ত থেকে মাছ কিনে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে। একদিন মাছ না ধরলে বা মাছ বিক্রি না করলে তাদের ৬জনের সংসারে ভাতের হাড়ি জ্বলে না। কখনও মাছ ধরে, কখনও অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে আবার কখনও টিউশনি করে লেখাপড়া করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ইন্দ্রজিত বিশ্বাস। সে এবার সদরের বল­ারটোপ আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে এই সাফল্য অর্জন করেছে। গোবিন্দ বিশ্বাসের বক্তব্য ছেলে ইন্দ্রজিত আগে মাছ ধরে সংসারের হাল ধরবে, তারপর লেখাপড়া। তবে তার সেই ভাবনা এখন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ছেলে ভালো রেজাল্ট করে কি হবে ? তারা লেখাপড়ার দায়-দায়িত্ব কে নেবে! আশাবাদি ইন্দ্রোজিত, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, অনেক কষ্ট স্বীকার করে লেখাপড়া করছি। কলেজের সমস্ত শিক্ষকরা ফ্রি বই দিয়ে এবং প্রাইভেট পড়িয়ে সাহায্য করেছেন। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সে ইংরেজী সাহিত্যে লেখাপড়া করে ম্যাজিষ্ট্রেট হতে চায়। ইন্দ্রোজিত, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, তার গরিব বাবার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করানোর সামর্থ নেই। এজন্য সে কোন ব্যাংক-বীমা, প্রতিষ্ঠান বা কোনো বিত্তবান ব্যক্তির সাহায্য কামনা করেছেন। ইন্দ্রোজিতের সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বর ০১৭৬৪৫২৮৫৫৪। নড়াইলের সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামে জেলে পরিবারের সদস্য গোবিন্দ বিশ্বাসের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ইন্দ্রজিত। অন্য দু’ভাই স্কুলে লেখাপড়া করে। বাড়িতে বসবাসের ৬শতক জমি ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। একটি মাত্র ঘরে ইন্দ্রজিতের দাদী, বাবা-মাসহ ৬জন বসবাস করে। অভাবের সংসার। বাবা গোবিন্দ মৌশুমের সময় স্থানীয় বিল-খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।১টি ছবি সংযু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here