খবর ৭১ঃদুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যদি ভারত সরকার আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চায় তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। যদি তারা এক পা অগ্রসর হয় তাহলে আমরা দুই পা অগ্রসর হব। কিন্তু তাদের এক পা এগিয়ে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা একমাত্র উপায় সংলাপ।
আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না হলেও বুধবারের নির্বাচনে জয়ের দাবি করেছেন তিনি। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কথা বলেছেন সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে। জানিয়েছেন, করের টাকা নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকবেন না তিনি।
রাজনীতিতে আসার কারণ
ইমরান খান বলেন, আমি রাজনীতি এসেছিলাম কারণ জিন্নাহ যে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই পাকিস্তান চেয়েছি। আর আল্লাহ আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছেন আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, এই নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। আমি বেলুস্তিনের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই যারা সন্ত্রাসী হামলার পরও ভোট দিয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলার পরও নির্বাচন সার্থকভাবে সমাপ্ত হওয়ায় আমরা পাকিস্তানের গণতন্ত্রের শক্তিশালী হওয়া প্রত্যক্ষ করেছি।
আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করতে চাই। কীভাবে জবাবদিহি করতে হয়। আমি শপথ করছি, আমার সরকার কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জড়াবে না। আমার সব নীতি হবে দুর্বলতা কাটিয়ে দেশকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।
প্রধানমন্ত্রী বাসভবন ব্যবহার করবেন না ইমরান
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি বাসভবন ব্যবহার করবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে পিটিআইপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর গভর্নর বাড়ি হবে পর্যটন স্থান।
কোন দেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক
তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন হবে বলে জানান, আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন চাই। চীন থেকে দারিদ্র্যবিমোচনের উপায়টা শিখতে চাই।
আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইমরান বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই।
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পিটিআইপ্রধান বলেন, আমরা আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতামূলক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চাই।
ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা
তবে তিনি ভারতের সংবাদমাধ্যেমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা এমনভাবে আমার নির্বাচনের সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যেন আমি বলিউডের কোনো ভিলেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।
তবে পিটিআই ছাড়া বাকি সব দলই কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালীয় গণমাধ্যম ডন জানায়, বেসরকারি ফলাফলে পিটিআই ১২০টি, পিএমএল-এন ৬১, পিপিপি ৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ