সারাদেশ

ফ্লাইট অবতরণের পর অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রলি যুদ্ধ, যাত্রীরা ভোগান্তিতে

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ০৭, ২০২৫ 0

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ‘ট্রলি যুদ্ধ’। দিনে প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী এসে পৌঁছান, কিন্তু ট্রলির সংখ্যা মাত্র ৩,৬০০টি। এর ফলে যাত্রীদের সারারাত ভ্রমণ শেষে তাদের মালপত্র তুলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

 

ভ্রমণকারীরা অভিযোগ করেছেন, ট্রলির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা একেবারেই কষ্টকর। বিশেষ করে বিদেশ থেকে দীর্ঘ ফ্লাইট শেষে ক্লান্ত যাত্রীদের জন্য এটি অতিরিক্ত ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই বলেন, বিদেশের বিমানবন্দরগুলোতে এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায় না, যেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে ট্রলি সহজেই পাওয়া যায়।

 

কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ট্রলির ঘাটতি এবং ধাক্কাধাক্কি এখন সাধারণ দৃশ্য হয়ে গেছে।

 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত ট্রলি সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। তবে প্রতিদিনের ফ্লাইট বৃদ্ধির কারণে ট্রলির ঘাটতি এখনও সমস্যা তৈরি করছে। বিশেষ করে সকালে একসাথে একাধিক ফ্লাইট অবতরণের সময়, যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

 

জানা গেছে, অনেক যাত্রী এই পরিস্থিতিতে মালপত্র পেতে চাপা-পিঠে চাপা পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। ট্রলি সংক্রান্ত এই সমস্যা শুধু যাত্রীদের ভোগান্তি তৈরি করছে না, বরং বিমানবন্দর কর্মীদেরও অতিরিক্ত চাপের মধ্যে ফেলছে।

 

যাত্রী এবং পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুত ট্রলি সংখ্যা বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে এই সমস্যা কমানো সম্ভব হবে। তবে যেহেতু প্রতিদিন ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে, তাই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়াটাও জরুরি।

 

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সারাদেশ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের লকডাউনেও সারা দেশে গণপরিবহন চলবে

কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত আগামীকাল সোমবারের দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও সব ধরনের যানবাহন চলবে এ ঘোষণা দিয়েছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। রবিবার রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।   তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তা প্রতিহত করা হবে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। হুমায়ূন কবির খান আরও অভিযোগ করেন যে, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি ব্যাহত করতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফেডারেশন এসব কর্মসূচি এবং সম্ভাব্য নাশকতার নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও মালিকদের জন্য সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির সময় দেশজুড়ে প্রায় ২০টি পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়। ময়মনসিংহে একটি বাসে আগুন দিয়ে চালক জুলহাসকে হত্যা করা হয়, যার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন।   উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে। এর প্রতিবাদে সারাদেশে লকডাউন ডাকা হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে বাসে আগুন

ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি টার্মিনাল ইজারার প্রতিবাদে শ্রমিকদের মশাল মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আগুন

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোডের কেএফসি ভবনে আগুন

রাজধানীর বেইলি রোডের কেএফসি ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১০টা ৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় আগুন ইতোমধ্যে নিভে গেছে। এ ঘটনায় কোনো ধরনের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।   এদিকে রাজধানীর মিরপুর, হাতিরঝিল ও মৌচাক এলাকায় পরপর পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টার মধ্যে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কোথাও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর বিআরটিএ এলাকার পাশে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনো পরিষ্কার নয়। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ চলছে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের মেট্রো স্টেশনের ১৭৯ নম্বর পিলারের কাছে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত করছে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে কাছাকাছি থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি। ঘটনাস্থলের পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।   এ ছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মৌচাক উড়ালসড়ক থেকে নিচে মৌচাক ক্রসিং এলাকায় একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। কয়েকজন দুর্বৃত্ত উড়ালসড়ক থেকে ককটেল ফাটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

দফায় দফায় হামলা–পাল্টাহামলা : বরিশালে তাণ্ডব, বাস ভাঙচুর

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে বাসটি। ছবি : সংগৃহীত

বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ১ জনের প্রাণ গেল

ছবি : সংগৃহীত

বাড়িতে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে হত্যা, স্ত্রীরাও গুরুতর আহত

ছবি : সংগৃহীত
শান্তিনগর-কারওয়ান বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে এসব বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি বলে জানা গেছে।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ফ্যাসিবাদী গুম, খুন ও লুটপাট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন চলছিল। এ সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পরপর দুবার বিকট শব্দ শোনা যায়। ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই আশপাশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন, তবে হামলাকারীদের কেউ শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীবাসীর মধ্যে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

নাটোরে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন

ছবি : সংগৃহীত

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল চেষ্টা থমকে গেল, জনতার ধাওয়ায় পালালো নেতাকর্মীরা

0 Comments