বিনোদন

ক্যাটরিনা কাইফ গোপন ছবি নিয়ে নেটদুনিয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

লিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ বিয়ের পর থেকে অনেকটা পর্দার আড়ালে ছিলেন। স্বামী ভিকি কৌশলের সঙ্গে সুখে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন এই তারকা দম্পতি। এ বছর সেপ্টেম্বরে সামাজিক মাধ্যমে সুখবর প্রকাশ করে তারা জানান, জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন তারা। ঘর আলো করে এ দম্পতির ঘরে আসছে প্রথম সন্তান।

 

এরপর থেকেই নেটিজেনদের নজর আরও বেশি পড়ে ক্যাটরিনার দিকে। তবে এতদিনেও মাতৃত্বকালীন সময়ের কোনো ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। অবশেষে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়ানো অবস্থায় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন ক্যাটরিনা। দূর থেকে ফোনে তোলা ছবিগুলো কিছুটা ঝাপসা হলেও অনুরাগীদের চোখে ধরা পড়ে তার মুখের প্রশান্তি ও মাতৃত্বের ছাপ। এ সময় তার পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের পোশাক।

 

ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের এমন মুহূর্ত এভাবে ক্যামেরাবন্দি করা কতটা নৈতিক।

একজন অনুরাগী ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, যেখানে-সেখানে ক্যামেরা ধরার আগে সভ্যতা শেখা উচিত। বাড়ির ভেতর বা বারান্দায় ক্যামেরা তাক করাটা স্পষ্ট গোপনীয়তা লঙ্ঘন। মানুষ কি নিজের ব্যক্তিগত জায়গাতেও শান্তিতে থাকতে পারবে না। আরেকজন মন্তব্য করেন, এই ছবিগুলো অবিলম্বে মুছে ফেলা উচিত এবং এ ধরনের অনধিকার প্রবেশমূলক কাজের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

 

উল্লেখ্য, বিয়ের সাড়ে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো মা হতে চলেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। গত সেপ্টেম্বরে তাদের প্রকাশিত বিবৃতিতে দম্পতি লিখেছিলেন, আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় আমাদের হৃদয় আজ পরিপূর্ণ।

 

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

বিনোদন

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
মঞ্চে ‘অস্বস্তিকর’ হয়ে উঠল সালমান-তামান্নার নাচ!

সম্প্রতি দাবাং ট্যুরে বলিউডের সালমান খান ও তামান্না ভাটিয়ার সাম্প্রতিক পারফরমেন্স ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। কাতারের দোহার মঞ্চে তাদের এক যৌথ নাচের ভিডিও সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা সেটিকে ‘অস্বস্তিকর’ বলে মন্তব্য করছেন।    ভিডিওতে দুজনকে ‘দিল দিয়া গাল্লা’ গানের সঙ্গে পারফর্ম করতে দেখা যায়। সালমানের রোম্যান্টিক অঙ্গভঙ্গিকেই মূলত সমালোচনার কেন্দ্র বলা হচ্ছে। সেই ক্লিপকে ঘিরে রেডিটেও একটি থ্রেড ভাইরাল হয়। সেখানে অনেকে মন্তব্য করেছেন- ‘খুবই অস্বস্তিকর’, ‘দেখতে লজ্জা লাগছে’, ‘ক্রিঞ্জ প্রো ম্যাক্স’, ‘তামান্না বিব্রত মনে হচ্ছে’ ইত্যাদি। এই ট্যুরটিতে সালমান ও তামান্নার সঙ্গে আরও আছেন সুনীল গ্রোভার, স্টেবিন বেন, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও মনীশ পাল। মঞ্চে সালমান খান তার জনপ্রিয় গান ও জানে জানা, জুম্মে কি রাত (কিক), পাণ্ডে জি সিটি (ডাবাং) ও সজন রেডিও (টিউবলাইট)–সহ একাধিক হিট সাউন্ডট্র্যাকে নেচেছেন।   সব মিলিয়ে, সালমান-তামান্নার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

দুইদিনেই বক্স অফিসে দাপট দেখাল অজয়ের ‘দে দে প্যায়ার দে টু’

মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

আত্মসমর্পণ করেই জামিন পেলেন মেহজাবীন

ছবি: সংগৃহীত

রাজমৌলির ভারাণসীর টিজার রিলিজ, জানা গেল মহেশ বাবুর অজানা গুণ

ছবি: সংগৃহীত
দুবাইয়ে শাহরুখের নামে টাওয়ার, উদ্বোধন অনুষ্ঠান হলো মুম্বাইয়ে

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে একটি বিলাসবহুল টাওয়ার নির্মাণ হতে চলেছে। গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ে।   আরব আমিরাতের রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ‘দানিয়ুব’ ভবনটি নির্মাণ করছে। তাতে স্বয়ং হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ খান। অনুষ্ঠানে দানিয়ুব গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রিজওয়ান সাজান শাহরুখ খানের প্রশংসা করেন।   উদ্বোধনের পর শাহরুখ খান তার প্রতিক্রিয়ায় বলছিলেন, ‘এটা সত্যিই একটি বড় সম্মান। যখন আমি আমার সন্তানদের দুবাই নিয়ে যাব, তখন বলব এটা দেখ, বাবার বিল্ডিং। যদিও বিল্ডিংটি রিজওয়ান ভাইয়ের। কিন্তু নাম তো আমারই লেখা আছে।’   ৫৬ তলার 'শাহরুখজ দানিয়ুব' টাওয়ারটি মূলত দানিয়ুব প্রপার্টিসের নতুন আবাসন প্রকল্প। এটির নির্মাণ শেষ হতে সময় লাগবে ৩–৪ বছর।   এর প্রবেশদ্বারে থাকবে শাহরুখের বিখ্যাত দু’হাত ছড়িয়ে দাঁড়ানো পোজের বিশাল মূর্তি— যা পুরো টাওয়ারকে করবে ইনস্টা-ফেভারিট।   দুবাইতে নতুন করে জীবন শুরু করতে চাওয়া মধ্যবিত্ত ভারতীয় বা দক্ষিণ এশীয়দের জন্য ‘অ্যাফোর্ডেবল কিন্তু প্রিমিয়াম’ বসবাসের অভিজ্ঞতা দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই টাওয়ার নির্মাণ।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

দাঊদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সংযোগ! পুলিশ ডাকবে শ্রদ্ধা কাপুর-নোরা ফাতেহিদের

ছবি : সংগৃহীত

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

শাকিবের প্রিন্স সিনেমায় যুক্ত হলেন ফারিণ। ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানের নতুন ছবিতে তাসনিয়া ফারিণ

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ছবি : সংগৃহীত
হিরো আলম গ্রেপ্তার, যা জানা গেল

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।   হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই আদেশের ভিত্তিতেই আজ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হিরো আলমের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন তার স্ত্রী রিয়া মনি। মামলায় হিরো আলম ছাড়াও আহসান হাবিব সেলিম নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন এবং নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এ কারণে তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। আজ মূল আসামি হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, হিরো আলম ও রিয়া মনির মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন উভয়পক্ষকে নিয়ে একটি বাসায় মীমাংসার চেষ্টা করা হলে হিরো আলমসহ ১০–১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের গালাগাল করেন। পরে তারা বাদীর বর্তমান বাসায় প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।   অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এ সময় বাদীর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ জুন রিয়া মনি হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।  

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

এক চড়েই বদলে যায় শাহরুখের ভাগ্য!

ছবি: সংগৃহীত

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত

শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন ফারিণ

0 Comments