বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অপতথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়ানো হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি সবাইকে বোঝানোর তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য বিএনপির কার্যকরী কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপিকে একটি স্যোশাল মিডিয়া সেল গঠনের পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী অনেকে আছেন, যারা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিএনপি ও বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চান। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আপনাদের সাইবার জগতের যুদ্ধ জোরালো করতে হবে।
এ সময় তিনি জানান, শুধু রাজপথে স্লোগান আর মিছিল করলে হবে না, সাইবার ওয়ারেও নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। যে ডিভাইসের মাধ্যমে বেশি মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছানো যাবে সেগুলো ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থকেই শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছিল। পরপর তিনটা নির্বাচন বেআইনিভাবে করেছে আওয়ামী লীগ। মিডিয়া ও সচিবালয় সব দখল নিয়েছিল। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ছিল। আমরা সেটা পার হয়েছি।
মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর রহমতে যে বিচারক খালেদা জিয়ার রায় দিয়েছিলেন তার বাড়ির ভিটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে মানুষ। তারেক রহমানকেও হয়রানি করা হয়েছে এভাবে।
ফখরুল বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। আমাদের দল হলো নলেজড বেইজড। বংলাদেশে যেটা হয়েছে তা কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবদান। তরুণ প্রজন্মের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। যুবকরা রক্ত না দিলে কি শেখ হাসিনা পালাতেন। এটার প্রতিদান দেওয়া সম্ভব না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। এটা হচ্ছে নতুন সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটা রোডম্যাপ। সবার কাছে এই ৩১ দফা তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।