সেমি-ফাইনাল জেতার কাজটা মূলত বোলাররাই সেরে ফেলেছিল। ব্যাটাররা বাকি সময় কেবল বোলারদের সেই সাজানো বাগানে হেঁটে এলো। তাতেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব- ১৯ দল পৌছে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে। সেমি-ফাইনাল জিতলো ৭ উইকেটে। ফাইনালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিরুদ্ধে। দুবাইয়ে এই টুর্নামেন্টের আরেক সেমিতে ভারত ৭ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায়।
আজ শুক্রবার দুবাইয়ে টসে জিতে বাংলাদেশ বোলিং বেছে নেয়। ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে পাকিস্তান উইকেট হারাতে শুরু করে। দুই ওপেনার শূন্য রানে ফিরেন। ২.৩ ওভারে ৭ রানে শুরুর দুই উইকেট হারানোর পর পাকিস্তান সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি। ২৫ ওভারে ৭৪ রান তুলতেই তাদের ৫ উইকেট হাওয়া। ওয়ান ডাউনে মোহাম্মদ রিয়াজউল্লাহ এবং মিডলঅর্ডারে ফারহান ইউসুফ ব্যাট হাতে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ায় পাকিস্তানের স্কোর কোনোক্রমে তিন অংকে পৌছায়। রিয়াজউল্লাহ করেন ৬৫ বলে ২৮ রান। ইউসুফ ৩২ বলে ৩২ রান করেন।
বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার ইকবাল হোসেন ইমন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ইমন। মারুফ মৃধা ২৩ রানে ২ উইকেট পান। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম এই ম্যাচেও তার সাত বোলারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। কোটার পুরো ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ৩৭ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৬ রানে।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার কালাম সিদ্দিকী শূন্য রানে ফিরে আসেন। পাওয়ার প্লে পার হওয়ার আগে আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২৫ বলে ১৭ রানে ফিরেন। দলের স্কোর তখন মাত্র ২৮। তবে সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ দল অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমসের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদের ৫৭ রান বাংলাদেশকে জয়ের পথে রাখে। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এই ম্যাচেও তার ব্যাটে হাসে ৪২ বলে অপরাজিত ৬১ রানে। সেই সঙ্গে হাসলে বাংলাদেশ দল।
জয়ের জন্য কোনো রকম তাড়াহুড়ো না করে পদ্ধতি মেনে ব্যাট চালিয়ে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৭ উইকেটের বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১১৬/১০ (৩৭ ওভাওে, রিয়াজউল্লাহ ২৮, ইউসুফ ৩২, ইমন ২/২৪, মারুফ ২/২৩)। বাংলাদেশ: ১২০/৩ (২২. ১ ওভারে, আজিজুল হাকিম ৬১*, জেমস ২৬)। ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।