খবর৭১ঃ রাজধানীসহ সারা দেশে মহামারি রুপ নিয়েছে ডেঙ্গু। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬৮৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯২ জনই রাজধানীতে। সব মিলিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৩৫ জন।
প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে ডেঙ্গুর ধরন ও লক্ষণের। আগে ডেঙ্গু হলে জ্বর অনেক বেশি জ্বর হতো। তবে এখন তেমনটি হচ্ছে না। এছাড়া কিছু নতুন লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
তবে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার জ্বর সারাতে ভালো কাজ করবে। জ্বরে রোগীর খাবার হতে হবে তরল ও সহজপাচ্য।
আসুন জেনে নেই জ্বরে যেসব খাবার খাবেনঃ
১. ডেঙ্গুজ্বরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শরীরে যেনপানিশূণ্যতা না হয়। এ সময় দেহে পানির সমতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ভিটামিন সি জাতীয় ফলের শরবত খেতে হবে। এসব খাবার শরীরে দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
২. ডাব রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন রয়েছে। দেহের স্নায়বিক জটিলতা, অন্ত্রের তারল্য ও কোষের জলীয় শোষণের সমতা বজায় রাখে ডাব। তাই ডেঙ্গুজ্বরে ডাব খুবই উপকারি।
৩. লেবু, পেয়ারা, আনারস, কমলায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব খাবার মানবদেহে কোলাজন তৈরিতে, রোগ প্রতিরোধ ও ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই ডেঙ্গু রোগীতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফলের রস রাখা উচিত।
৪. আমলকী ও বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটিও রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ রক্তে প্লাটিলেট তৈরিতে সাহায্যে করে। তাই ডেঙ্গু রোগীর রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারে।
৬. লেবুর রসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ায়।এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৭. রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুবই উপকারি। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেট বাড়ে।
৮. ডালিম ফল আমাদের অনেকের প্রিয়। এই ফলে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে।