“আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল”

0
885
ছবির ক্যাপসন: লেখকঃ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) -চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় -সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ

খবর৭১ঃজ্ঞান হওয়ার পর থেকে দুটি নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং বাঙালী আর বাংলাদেশের সমার্থক হয়ে উঠতে দেখে বড় হওয়া এই আমি অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে তার একটিকে কাউন্টার ব্র্যান্ডিং-এ হারিয়ে যেতে দেখছি। এটি হলো বাঙালী আর বাংলাদেশকে সরাসরি গাল দিয়ে হেনরি কিসিঞ্জারের সেই উক্তিটিÑ ‘বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি’।

ক’দিন আগে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বাসায় একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পরিচয় হলো জাতিসংঘের ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের একজন কর্তাব্যক্তির সঙ্গে। মার্কিন ভদ্রলোকের কাছে শুনে অবাক হয়েছি বাংলাদেশে গবাদিপশুর সংখ্যা নাকি পৃথিবীর যে কোন দেশের চেয়ে বেশি। এমনি অবাক হয়েছি প্রতিবারই যখন জেনেছি মাছ, চাল, ডিম, দুধ, ফল, সবজি ইত্যাদি উৎপাদনে ১৬ কোটি মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটি পৃথিবীতে প্রথম দশের মধ্যে। আমাদের জমানায় এসএসসি আর এইচএসসিতে স্ট্যান্ড করার বিধান ছিল। প্রতিটি বোর্ডের সেরা বিশজন স্ট্যান্ড করতেন। নেত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন শুধু স্ট্যান্ডই করছে না, বরং ইদানীং যে গোল্ডেন জিপিএ-এর প্রচলন হয়েছে তাও পেয়ে চলেছে একের পর এক। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু আর একের পর এক ক্রমশ দৃশ্যমান মেগা প্রকল্পগুলো এখন পুরনো খবর। আর নতুন করে অবাক হই না যখন দেখি নিজস্ব অর্থায়নে সাবমেরিন আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দাঁড় করাচ্ছে পৃথিবীর মুষ্টিমেয় কয়টি দেশের কাতারে। সেদিন আমার চেম্বারে দোভাষী নিয়ে হাজির এক রুশ নাগরিক। বাংলাদেশী কোন রোগীকে দেখতে যে সময় লাগে, অথচ তাকে দেখতে সময় লাগল তার চেয়ে কমপক্ষে দশগুণ। বিরক্ত হইনি। রোগীকে দেখতে গিয়ে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে বারবার। চোখের আনন্দধারা সংবরণ কঠিন হচ্ছিল। ভদ্রলোক কাজ করেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পে। জননেত্রীর হাত ধরে নিজস্ব অর্থায়নে আর একটি গোল্ডেন জিপিএ প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ!

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডাঃ লোটে শেরিং আমার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অনুজ। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চেনা-জানার সুবাদে থিম্পুতে তার শপথ গ্রহণের দিন আমন্ত্রিত ছিলাম স্ত্রী ডাঃ নুজহাত চৌধুরী আর আমি, সঙ্গে আমাদের সুকন্যা- সূর্যও। এই সেদিন ডাঃ লোটে ঢাকায় এসে স্বাক্ষর করে গেলেন একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। এর বেশিরভাগই ভুটানের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সংক্রান্ত। আর্থিক সহযোগিতার ক’টি চুক্তি থাকলেও তা গৌণ সেখানে। ভুটানের বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ডাঃ লোটের মতোই বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। এমনি আরও ভূরি ভূরি উদাহরণ তাদের প্রশাসনে সর্বত্র। মার্কিনীরা যখন দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে নিজ কর্তৃত্ব জাহিরে ব্যস্ত, চীনের প্রয়াস যখন ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোডের’ মাধ্যমে পয়সা ছিটিয়ে প্রভাববলয় বিস্তারের, তখন বাঙালীর যে মূল শক্তি, যা না অর্থ, না পেশিবল, বরং তার মেধা আর মুক্তচিন্তা, স্মারক যার হাজার বছরের পুরনো চর্যাপদ কিংবা পাহাড়পুর আর ময়নামতির বৌদ্ধবিহারগুলো- বাঙালীর সেই জ্ঞান আর মেধায় আজ উদ্ভাসিত প্রতিবেশী ভুটান। ওরা আমাদের প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আর বিনিময়ে ওদের আমরা টেনে উঠিয়ে আনছি উন্নয়নের মহাসড়কে। অর্থ আর অস্ত্রবর্জিত এমন অদ্ভুত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নজির আজকের বিশ্বে বিরল।

এভাবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর জননেত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ শুধু নিজেই বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল নয়, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবেশীকে অস্ত্র দিয়ে কুপোকাত না করে কিংবা অর্থের গরিমায় না কিনে নিয়ে এক সঙ্গে হাতে হাত ধরে কীভাবে টেনে তোলা যায় তার অনন্য উদাহরণও বিশ্ববাসীর সামনে আজকের এই বাংলাদেশই।

এই লেখাটি যখন লিখছি সেই মুহূর্তে শিরোনাম আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সাফল্যের সঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে আরও একটি জঙ্গী আস্তানা। পারেনি যা নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম কিংবা শ্রীলঙ্কা এই নিকট অতীতে, হেরেছে যখন আমেরিকা-ব্রিটেন বারবার, তখন আরও একটি গর্বিত সাফল্য আমাদের। হেনরি কিসিঞ্জারের জন্য এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে!

কিন্তু ওই যে আমাদের দ্বিতীয় নেগেটিভ ব্র্যান্ডিংটি, আলেকজান্ডার যা সরাসরি আমাদের উদ্দেশ করে না বললেও কিভাবে যেন আমরা তার ‘হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!’ উক্তিটিকে একান্তই আপন করে গায়ে টেনে নিয়েছি, আজও তা বহাল তবিয়তে বহাল আছে। বিশ্ব জয় করতে করতে সম্রাট আলেকজান্ডার যখন পাঞ্জাবে, অবিভক্ত ভারত জয়ের হাতছানি যখন তার সামনে, তখনই স্থানীয় এক শাসক রাজা পুরুর বীরত্ব, ঔদ্ধত্য আর পাশাপাশি তার শীর্ষ সেনাকর্তাদের বিশ্বাসঘাতকতায় আলেকজান্ডার এতটাই মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে- ভারত জয় না করেই ফিরে যাওয়ার কঠিনতম সিদ্ধান্তটি তিনি সেদিন নিয়েছিলেন। আর ফিরে যাওয়ারকালে সেনাপতি সেলুকাসকে উদ্দেশ করে বলে গিয়েছিলেন তার সেই অমর উক্তিটি, যা আজও বাঙালী আর বাংলাদেশকে নেতিবাচক ব্র্যান্ডিং করে।

আমার মনোকষ্টের কারণ হেনরি কিসিঞ্জারের গালে আমরা কষে চড়টা ঠিকই দিয়েছি; কিন্তু আলেকজান্ডারকে ভুল প্রমাণ করতে আমাদের এখনও ঢের বাকি। আমি নিয়মিতভাবে ‘বারেক সাহেব’ নামের একটি কল্পিত চরিত্রের বরাতে কলাম লিখি। অনেকে পড়েন, পছন্দও করেন। আবার অপছন্দ করেন এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। প্রশংসা কিংবা গালি যতই শুনি, লিখি দ্বিগুণ উৎসাহে। অন্যের জুতায় পা ঢুকিয়ে আমার হাঁটার চেষ্টা এই বারেক সাহেবের বয়ানগুলো সারা বাংলা.কমও ছাপিয়ে চলে মহাউৎসাহেই। বারেক সাহেবের সর্বশেষ লেখাটি লিখতে গিয়ে আলেকজান্ডারের প্রসঙ্গটি টেনে এনেছিলাম। লিখেছিলাম আজকের যুগ হলে বাংলাদেশের হালের রাজনীতির হালহকিকত সম্বন্ধে গুগলে সার্চ দিয়ে মহামতি আলেকজান্ডার হয়তবা এদিকে পা-ই মাড়াতেন না।

আমার এমন আত্মোপলব্ধির স্বপক্ষে সর্বশেষ নমুনাটি দেই। দিন দশেকের ব্যবধানে এদেশের মিডিয়ায় দুটি ঘটনা হেডলাইন হয়েছে এবং হবে। ৩ মে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯০তম জন্মবার্ষিকী। একাত্তরের ৯টি মাসে ‘অবরোধবাসিনী’ একজন শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত বাঙালী নারীর যুদ্ধদিনের স্মৃতি ‘একাত্তরের দিনগুলো’র মাধ্যমে বাঙালীর সামনে তুলে ধরে জাহানারা ইমাম তখনই ইতিহাসে তাঁর স্থান করে নিয়েছিলেন। এদেশের জন্য তিনি বিসর্জন দিয়েছিলেন তাঁর মেধাবী সন্তানকে। হারিয়েছিলেন তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা প্রিয়তম স্বামীকেও। এসব ত্যাগ ইতিহাসে তাঁর অবস্থানকে সুসংহত করেছে। কিন্তু যে কারণে বাঙালী আর বাংলাদেশ প্রতি ৩ মে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে, যে কারণে তাঁর নাম উচ্চারিত হবে এদেশের ইতিহাসের সোনালি নামগুলোর সারিতে, তা হলো একাত্তরের ঘাতক-দালালদের চিহ্নিত করা, তাদের বিচারের দাবিতে জনমত গড়ে তোলা আর আজকের ‘গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদ-সাকা চৌধুরীমুক্ত’ কলঙ্কহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড আর তার ধারাবাহিকতায় ৩ নবেম্বরের জেলহত্যাকান্ড এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক দুঃশাসনের দিনগুলোতে প্রহসনের বিচারে হাজার হাজার বাঙালী সেনানির মৃত্যুদন্ডের মধ্য দিয়ে এদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতির প্রচলন করা হয়েছিল তার অবসান তো হলো মাত্র এই সেদিন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী আর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচারের মাধ্যমে। কিন্তু শুধু বিচারহীনতাই নয়, পঁচাত্তরের পর থেকে জাতীয়তাবাদী নামধারী একের পর এক সরকারগুলো স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপক ক্ষমতায়ন আর পাকিস্তানীদের নাম ভুলিয়ে দিয়ে বাঙালীকে একজন মেজরের স্বাধীনতা ঘোষণা আর হানাদারদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার যে বিকৃত ইতিহাসগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল সেখান থেকে আজকের মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ একটা বাঙালী জাতি গঠনে শহীদ জননীর অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। বাঙালী আর বাংলাদেশের মিডিয়া এবং বাঙালী স্বাধীনতাকামীরা সঙ্গত কারণেই ৩ মে তাঁকে স্মরণ করবে পরম শ্রদ্ধায়- সেটাই প্রত্যাশিত।

অথচ সেই একই দেশে আমাদের মিডিয়াকর্মীদের পিঠস্থান হিসেবে যে স্থানটিকে আমরা চিনি সেই জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩ মে’র অল্প ক’দিন আগে একটি অশালীন নাটকের কি রকম মঞ্চায়নটাই না দেখলাম। এই ক’দিন আগেও যারা প্রচলিত আইনে, দীর্ঘ বিচার শেষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দন্ড কার্যকরে বাধা দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে- পুড়িয়েছে, সুশীলের বেশে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের সহসা উপস্থিতিতে আরও একবার অবাক হয়েছি। ‘জন আকাক্সক্ষার মঞ্চের’ ব্যানারে কে নেই সেখানে? আছে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি, জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য, শিশু থেকে গবাদিপশু আর রাম থেকে রাব্বানি প্রত্যেককে নির্বিচারে ঘরে, বাসে, ট্রেনে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারায় এই ক’দিন আগেও যারা ছিল অগ্রণী। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন কিংবা মাঠে খেলতে যাওয়ার অপরাধের যে কোন ছুতোয় আর কখনওবা তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে তাদের আগুন সন্ত্রাস থেকে রেহাই পায়নি ছোট থেকে বড় কেউই। ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে যারা গলা ফাটিয়েছে এমন আইনজীবীও। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীদের জেরা করার প্রত্যক্ষদর্শী আমি। তাদের জেরার ঢঙে মনে হতো সাক্ষ্য দিতে এসে সাক্ষীরা বোধ হয় বড় ধরনের পাপ করে ফেলেছেন। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার অপরাধে লাশ হয়েছেন নন্দিত গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাই আর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন আমার প্রিয় রোগী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলও। তাদের পেছনে আছে দেশত্যাগী আরেক যুদ্ধাপরাধী। ভেক ধরেছিল সুশীল আইনজীবীর। পরে খোলস খসে পড়ায় এখন লন্ডনে প্রবাসী। পেছনে থেকে জাতিকে আরেক দফা ঘোল খাওয়ানোর ধান্দায় আপাতত ব্যস্ততা তার। একাত্তরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্বসূরি ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে সিলেট অঞ্চলে আলবদর বাহিনীতে সক্রিয় ছিল এই ব্যক্তি। নিরপরাধ বাঙালীর রক্ত তার হাতে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সিলেট জেলা কমান্ডার এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সিলেট শাখার আহ্বায়ক সুব্রতদার নিজ জবানিতে সিলেটে বসে এই আইনজীবীর একাত্তরের কুকীর্তি শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার এই গত ডিসেম্বরেই। বলাই বাহুল্য, এক সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আইনী লড়াইয়েও নেতৃত্ব দিয়েছে এই ব্যক্তিটিই।

সত্যিই কি বিচিত্র না আমরা! ওরা আজ মঞ্চ বানিয়ে আমাদের শোনাচ্ছে আকাক্সক্ষা পূরণের গল্প। বুঝি না শুনে হাসব, না কাঁদব। তবে নিশ্চিত জানি কাঁদছেন শহীদ জননী, কাঁদছেন একাত্তরের শহীদরা। আমাদের এই ‘বিচিত্র’ অপবাদটা ঘোচাতে হবে আমাদেরই। সবকিছুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, ওদের চড়টা মারতে হবে আমাদেরই।

আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য আমাদের আর অন্য কারও প্রয়োজন নেই। জননেত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ এখন সঠিক পথেই ধাবমান। আমাদের আকাক্সক্ষা পূরণে প্রস্তাব রাখে এমন কেউ গায়ে যার পোড়া বাঙালীর গন্ধ, হাতে যার মৃত বাঙালীর রক্ত, এমন দুঃসাহস সে পায় কিভাবে? আমজনতার একজন হিসেবে ওদের কাছে আমার প্রশ্ন একটাই- ‘আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণের তুই কে?’
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here