খবর ৭১ঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয়তাবোধ বাঙালির প্রেরণার উৎস। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, জাতীয় সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নজরুলের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ত্রিশালে দরিরামপুর নজরুল একাডেমী মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী প্রতিভা ও জীবনদর্শন, মানবিক মূল্যবোধের স্ফূরণ, সমৃদ্ধশালী লেখনী বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। নজরুল শুধু বাংলার জাতীয় কবিই নন, তিনি জাগরণের কবি, সাম্যের কবি। তিনি শোষন, বঞ্চনা, অত্যাচার, কুসংস্কার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, কবি নজরুল সমাজে পরিবর্তনের যে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়েছেন, তার আলোকচ্ছটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে। আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করবে এবং বৈষম্যহীন, সমতাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে জাতি গঠনে অর্থবহ অবদান রাখবে।
সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
এ সময় কবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকীতে স্মারক বক্তব্য দেন বেগম আকতার কামাল।
জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিন দিনের আয়োজনে দরিরামপুর নজরুল একাডেমী মাঠে বসেছে পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বই মেলাসহ গ্রামীণ পণ্যের পসরা।