মিজানুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলায় বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রম্যান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, যুবদল আহবায়ক তরিকুল ইসলাম কায়েদ, ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার আল আমিনসহ ৫৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ জনকে অজ্ঞাত দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-১৬,তারিখ ৫.৫.১৮ ইং। পুলিশ শনিবার রাত থেকে গতকাল রবিবার বিকাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, হোসেন মেন্বার, ছাত্রদল নেতা শিপলু, যুবদল নেতা মতিনসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকালে জেলা বিএনপির অফিসে এক সাংবাদিক সন্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, শনিবার ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মোশারেফ হোসেন শাজাহানে ৬ষ্ঠ মৃত্যু বাষিকী। তার ছোট ভাই বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দোয়া মাহফিল ও শোক র্যালীর আয়োজন করে। সকাল ১০ টার দিকে তাদের বাসার সামনে থেকে শোক র্যালী শুরু হয়। র্যালীতে হাজার হাজার লোক অংশ নেন। র্যালীটি মহাজন পট্টি পৌছলে তা ভন্ডুল করতে সেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় বাধা দেয়। জনতা বাধা উপেক্ষা করে র্যালীটি সদর রোড প্রদক্ষিন করে নতুন বাজার হয়ে সরকারী স্কুলে সামনে দিয়ে মহাজন পট্টির দিকে রওয়ানা হলে শিক্ষা অফিসের কাছে পুলিশ আবার র্যালীতে বাধা দিয়ে বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। জনতার বাধার মুখে পরে পুলিশের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাকে গ্রেপ্তার করতে না পেরে র্যালীর মধ্যে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান উঠিয়ে দেয়। ভ্যানের চাপায় ১২জন নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়। পরে মহাজন পট্টি বিএনপির অফিসের সামনে এসে শোক র্যালী শেষ করে। পুলিশের এক কর্মকর্তার সেচ্ছাচারিতার আদেশে শান্তিপূর্ন মৃত্যুবার্ষিকীতে এহন ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ নিজেরা বাদী হয়ে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গন গ্রেপ্তার করছে। তিনি এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্তে মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদেরকে মুক্তি দিয়ে, ভোলার শোক অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য নস্যাতকারী অতি উৎসাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি (তদন্ত) কে ভোলা থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। এসময় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, মহিলা দলের নেত্রী খালেদা খানম, বিলকিছ জাহান মুন মুন উপস্থিত ছিলেন।
খবর ৭১/ এস: