শাহাদাত হোসেন সজল,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০’এপ্রিল মঙ্গলবার রাত-১১:০০ ঘটিকায় কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভার বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী, স্বজন, এলাকাবাসীর হাতে অবরুদ্ধ ডা: মো.মাসুম আক্তার, সহকারি অধ্যাপক গাইনী, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী।
এ সময় প্রসূতি গৃহবধূর স্বামী, স্বজন, এলাকাবাসী প্রায়-২০ মিনিট তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তাৎক্ষণিক কোম্পানীগঞ্জ থানার হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ‘শাহদাৎ হোসেন’ ও স্থানীয় কাউন্সিলর ‘ছায়দল হক বাবুল’ জরুরী ভিত্তিতে এ বিষয়ে উপযুক্ত সমাধানের আশ্বাস দিলে রোগীর স্বামী, স্বজন, এলাকাবাসী হাসপাতাল থেকে চলে যান।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, আশঙ্কা-জনক অবস্থায় প্রসূতি ‘লুবনা ইয়াসমিন তানিয়া’ (২৮) কে- বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে গত ১৫’ডিসেম্বর বিদায় দেওয়া হয়েছে। এরপর স্বজনরা তাকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করান ও ১’মাস ২’দিন চিকিৎসার পর ভারতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
গৃহবধূর পরিবার অভিযোগ করেন, বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের ডাক্তার রোগীর অগ্রিম অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করান। সন্তান প্রসব হওয়ার পর ‘লুবনা ইয়াসমিন তানিয়া’র (২৮) শারীরিক অবস্থার খুব অবনতি হয়।
ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতির ২’টি কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ এবং বর্তমানে সংকটাপন্ন ৩ সন্তানের জননীর জীবন। কিডনি ২টি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, সপ্তাহে ৩ বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। সিজার অপারেশনের পর শরীর ভালো করে ড্রেসিং পর্যন্ত করা হয়নি।
অসুস্থ ‘লুবনা ইয়াসমিন তানিয়া’ (২৮) বসুরহাট পৌরসভার ৮’নং ওয়ার্ডের ‘মামুনুর রশীদ মামুন’র স্ত্রী।
– এ বিষয়ে ‘ডা: মো.মাসুম আক্তার’ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রোগীর স্বামী আমার গাড়ি আটক করতে চেষ্টা করেছিল। তবে প্রসূতি রোগীর শারীরিক অবনতির ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
– এ বিষয়ে বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতাপলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ‘মো.আবদুল ওহাব’ জানান, প্রসূতি রোগী তানিয়া গত ১২’ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়, অপারেশন হয় গত ১৪’ডিসেম্বর, হাসপাতাল ত্যাগ করে ১৫’ডিসেম্বর ২০১৭ইং।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে রোগীর স্বজনেরা একেক সময় একেক অভিযোগ করছে।
খবর ৭১/ ই: