খবর৭১:এমআরআই মেশিন যে কারো মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তা হয়ত জানা ছিল না ভারতে রাজেশ মারুর। তিনি মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে এক আত্মীয়ের পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন।
নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালে এমআরআই করাতে গিয়ে রাজেশকে বলা হয় একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসতে। আর সে সিলিন্ডার নিয়েই তিনি শনিবার সন্ধ্যায় এমআরআই কক্ষে প্রবেশ করেন।
এমআরআই মেশিনে যে শক্তিশালী চুম্বক থাকে, তা তার জানা ছিল না।
৩২ বছরের যুবক রাজেশ এমআরআই স্ক্যানের প্রস্তুতি চলার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেখানে প্রবেশ করা মাত্র তাকে মেশিন টেনে নেয়। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটে যে তার কিছুই করার ছিল না।
প্রবল টানে রাজেশের হাত ঢুকে যায় মেশিনে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও লিক হয়ে গ্যাস তার নাকমুখ দিয়ে ঢুকে পড়ে। ওই অবস্থাতেই রাজেশকে ভেতরের দিকে টানতে থাকে এমআরআই মেশিন। পিষে যায় তার দেহ।
রাজেশের চিৎকারে ছুটে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। মেশিন বন্ধ করে বের করে আনা হয় রক্তাক্ত রাজেশকে। কিন্তু, ততক্ষণ যা হওয়ার হয়ে গেছে। মিনিট দশেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রাজেশের আত্মীয় হরিশ সোলাঙ্কির অভিযোগ, ওয়ার্ড বয় তাদেরকে ভেতরে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভেতরে নেওয়া বারণ থাকার কথা বললেও সে জানায় ওতে কিছু হবে না, আর মেশিনও বন্ধ আছে। এমনকি চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ানরাও কিছু বলেনি। তার পরেই ভেতরে ঢুকে ঘটে এ ঘটনা।
সোলাঙ্কি বলেন, এমআরআই করাতে মাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার শ্বাসকষ্টের কারণেই অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে বলা হয়েছিল।
রাজেশের জানার কথা নয় যে, কোনো ধরনের ধাতব বস্তু নিয়ে এমআরই কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মেশিনের চৌম্বকক্ষেত্র সেটাকে টেনে নেবে। তারপরও কেন রাজেশকে ওই ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যেতে বলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
খবর৭১/জি: